
নিজের মুসলিম বোনদের কেন ভয় পাচ্ছেন মোদী? শাহিনবাগ নিয়ে প্রশ্নবাণ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির
শাহিনবাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের তোপ দাগলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে ওয়েইসি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, 'প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন যে তিনি মুসলিম নারীদের ভাই। তাহলে আজ মুসলিম নারীরা প্রতিবাদ করছেন। সেখানে কেন যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী? কেন নিজের মুসলিম বোনদের ভয় পাচ্ছেন মোদী?'

শাহিনবাগে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়
প্রসঙ্গত, এর আগে এর আগে শাহীনবাগের বেশ কয়েকজন সিএএ বিরোধী অবস্থানকারী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে শাহীনবাগে এসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করার আহ্বান জানান তাঁরা। তবে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী।

শাহিনবাগ নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করেন মোদী
উল্টে সোমবার দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে নেমে এক জনসভা থেকে শাহিনবাগ নিয়ে কংগ্রেস ও আপ-কে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'সিএএর নামে বিক্ষোভ রাজনৈতিক এক্সপেরিমেন্ট। আজ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, 'তারা (বিরোধী) একই ব্যক্তি যারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিন্দা করেছিলেন। দিল্লির নাগরিকরা কি এই জাতীয় লোককে ক্ষমতায় চান? এই লোকেরা ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চায়, তাদের বাঁচাচ্ছেন। জামিয়া ও শাহিনবাগ সহ এই সমস্ত প্রতিবাদের পেছনে একটি রাজনৈতিক নকশা রয়েছে।'

১৯৩৩ সালের জার্মানির মতো হয়ে যাচ্ছে ভারত
এদিকে বিজেপি ও মোদীকে আক্রমণ করে ওয়েইসি বলেন, 'দেশের বর্তমান পরিবেশ ১৯৩৩ সালের জার্মানির মতো। এরা সংবিধান বাতিল করতে চায়। ওরা ভারতকে হিটলারের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এই সরকারের আমলে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।'

এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে তোপ ওয়েইসির
পাশাপাশি সরকারের প্রস্তাবিত এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে তোপ দেগে ওয়েইসি বলেন, 'যদি জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) হয় তাহলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিও (এনআরসি) হবে। উভয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আজ না হলে কাল হবে, কাল না হলে পরের দিন হবে।'

'নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় সিএএ'
ওয়াইসি আরও বলেন, 'সিএএ নাগরিকত্ব দেয় এবং কেড়েও নেয়। আসামের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি বাঙালি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দিতে চান। যেখানে আসামের পাঁচ লাখ মুসলমানকে নাগরিকত্ব দিতে চান না।'