তাজমহলের ২২ টি ঘরের রহস্য কী? একনজরে পুরো ঘটনা
বারাণসীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ, কাশী-বিশ্বনাথের মন্দির নিয়ে বিতর্কের পরে এবার আগ্রার তাজমহলও (Tajmahal) আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। ইতিমধ্যেই তাজমহল নিয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, তাজমহলের ২২ টি ঘরই খুলে দিতে হবে। কেননা সেৎানে দেবদেবীর মূর্তি ও শিলালিপি রয়েছে বলে দাবি।

শাহজাহান তৈরি করেছিলেন
তৎকালীন মুঘল সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মমতাদের স্মরণে যমুনার তীরে সাদা মার্বেল দিয়ে তাপমহল তৈরি করেছিলেন। পারস্য, ভারতীয় ও ইসলামিক স্থাপত্যের অনন্য মিশ্রণে তৈরি তাজমহলকে তাই প্রেমের নির্দশনও বলা হয়ে থাকে।

সেই সময় থেকেই বিরোধ
শাহজাহান ১৬৬৬ সালে মারা যান, কিন্তু বিরোধ ছিল সেই সময় থেকেই। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়, তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া, যা হিন্দুদের বিশ্বাসের কেন্দ্র। যা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চে বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ একটি আবেদন দাখিল করেছেন।

মান সিং-এর প্রাসাদ!
আবেদনকারী তাঁর আবেদনে বলেছেন, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তাজমহলের ভিতরের ২২ টি ঘর খোলারঅ অনুমতি দেওয়া উচিত। সেখানে হিন্দু ভাস্কর্য কিংবা শিলালিপি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। বিজেপি নেতার আইনজীবী আদালতে বলেছেন, ১৬০০ খ্রিস্টাব্গে আসা ভ্রমণকারীরা তাঁদের দেওয়া বিবরণে এই সৌধকে মান সিংহেরপ প্রাসাদ বলেও উল্লেখ করেছেন।
আদালতে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেছেন, তাজমহল ১৬৫৩ সালে তৈরি হয়েছিল। ১৬৫১ সালে ঔরঙ্গজেবের একটি চিঠিতে জানা যায়, তিনি মায়ের সমাধি ক্ষেত্রটি মেরামত করতে চেয়েছিলেন।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের দাবি
হাইকোর্টের সামনে দাবি জানানো হয়েছে এএসআই এবং ইতিহাসবিদদের সমন্বয়ে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে হবে। তবে এই আবেদন দাখিলের পরেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বলন্ত ইস্যুগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এর আগে তাজমহলের ভিতরে হনুমান চালিশা পাঠ নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

ইতিহাসবিদ পিএন ওকের বইপ্রকাশের পরেই বিতর্ক শুরু
সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্ক শুরু হয়েছে ইতিহাসবিদ পিএন ওকের লেখা 'ট্রু স্টোরি অফ তাজ' বইটি নিয়ে। ওই বইয়ে তাজমহলকে শিবমন্দির বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাজমহলের মূল সমাধির নিচে ২২ টি ঘর বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কোনও কোনও ঐতিহাসিকের দাবি যমুনার পাশ দিয়ে বেসমেন্টে যাওয়ার জন্য দুটি জায়গায় সিঁড়ি রয়েছে। কিন্তু তা লোহার জাল গিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি ৪৫ বছর আগে পর্যন্ত সিঁড়ি দিয়ে নামার পথ ছিল।
হারিয়ে গেলও চিন্তা নেই! নির্দিষ্ট নিয়মেই পাবেন ট্রেন যাত্রার ডুপ্লিকেট টিকিট, একনজরে উপায়