করোনা টিকার জন্য ১৯,৬৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, বলছে সরকারি তথ্য
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কী জানালেন?
দেশের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও আতঙ্ক বাড়িয়ে উদ্বেগ বাড়াছে করোনার নয়া রূপ ওমিক্রন। গতকালকের তুলনায় আজকে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে এক লাফে অনেকটা বেড়েছে দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। যা নিয়ে দেশবাসী বেশ চিন্তিত হয়ে উঠেছে।
৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে
সমাজকর্মী অমিত গুপ্তের মতে, সরকারি তথ্য অনুসারে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিনামূল্যে সরবরাহের জন্য কেন্দ্র করোনার ভ্যাকসিনগুলি সংগ্রহ করতে ১৯,৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। সরকার কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২১-২০২২ সালে করোনার টিকা দেওয়ার জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
টিকা সংগ্রহের জন্য ১৯,৬৭৫.৪৬ কোটি টাকা
২০ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিনামূল্যে করোনার টিকা সংগ্রহের জন্য ১৯,৬৭৫.৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনার ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেল বলেছে, ১১৭.৫৬ কোটি অর্থাৎ ৯৬.৫ শতাংশ ডোজ সরকারি কোভিড ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (CVCs) ১ মে থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
CVC থেকে কী জানা গেল
প্রায় ৪.১৮ কোটি ডোজ প্রাইভেট CVC-তে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে Covishield-এর ৩.৫৫ কোটি ডোজ, Covaxin-এর ০.৫১ কোটি ডোজ এবং Sputnik V ভ্যাকসিনের ০.১১ কোটি ডোজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে"। ২১ জুন থেকে কার্যকর 'জাতীয় কোভিড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির বাস্তবায়নের জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা'-এর অধীনে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের কাছে তাদের মাসিক ভ্যাকসিন উৎপাদনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করার কখা রয়েছে। যেকোন অবশিষ্ট ভ্যাকসিনও সরকার সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছেন।
CoWIN কী বলছে
ভারতের CoWIN পোর্টাল অনুসারে জানা গিয়েছে, ১৪০ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫৬.৭৯ কোটি মানুষ উভয় ডোজ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। ওমিক্রনের হাতে ধরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। গবেষকরা এমনটাই জানালেন। তবে তারা জানিয়েছেন, আগের ঢেউয়ের তুলনায় এই ঢেউয়ের প্রভাব অনেক কম হবে।