কোন আইনি পথ অবশিষ্ট রয়েছে শশীকলা নটরাজনের কাছে?
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আইনি পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল শশীকলার সামনে। শুধুমাত্র রিভিউ পিটিশন বা রায় পর্যালোচনার আবেদন তিনি করতে পারেন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে।
নয়াদিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি : সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় শশীকলা নটরাজনকে চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণাটকের নিম্ন আদালত জয়ললিতা, শশীকলা সহ মোট চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
শশীকলা নটরাজনকে নিয়ে এই ৮টি অজানা তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন
দোষী সাব্যস্ত শশীকলা : আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলার টাইমলাইন একনজরে
এর ফলে জনপ্রতিনিধি আইন মোতাবেক আগামী ১০ বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না শশীকলা নটরাজন। একইসঙ্গে এই রায়ের ফলে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল চিনাম্মার।
আইনজীবী সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আইনি পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল শশীকলার সামনে। শুধুমাত্র রিভিউ পিটিশন বা রায় পর্যালোচনার আবেদন তিনি করতে পারেন সর্বোচ্চ আদালতের কাছে।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত শশীকলা নটরাজন
বহিষ্কৃত পন্নিরসেলবম, এআইএডিএমকে-এর নয়া প্রধান পলানিস্বামী
তবে জেনে রাখা প্রয়োজন, ফের সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানালেও তা করতে হবে যে বিচারপতি এদিন শাস্তির রায় ঘোষণা করেছেন তাঁর কাছেই।
যদিও রিভিউ পিটিশনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ১০টির মধ্যে ৯টি ক্ষেত্রেই নিজের রায় পুনর্বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ রিভিউ পিটিশনের আবদন খারিজ করে দেয়।
সাধারণত সংবিধানের উপরে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হলে অথবা কোনও আইন নিয়ে সংশয় থাকলে তবেই রিভিউ পিটিশনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। আর এমন খুব কম মামলা রয়েছে যার ক্ষেত্রে এমনটা সম্ভব হয়েছে। ফলে বলা যায় শশীকলার জন্য সমস্ত আইনি রাস্তাই প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।