পুলিশ হেফাজতে ভিগনেশের মৃত্যু, গ্রেফতার ছয় পুলিশ কর্মী
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে বন্দির। চেন্নাইয়ের এই ঘটনা নিয়েই নড়েচড়ে বসেছে গোটাদেশ। এবার এই কাণ্ডে ছ'জন পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করল চেন্নাই পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ- ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বন্দিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

কী হয়েছিল ঘটনা?
চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল তারিখে রাস্তায় যানবাহনের চেকিং চলাকালীন ভিগনেশ এবং সুরেশ নামক দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু'জনের কাছে মদ এবং গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল। যথারীতি জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ৷ পুলিশের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি ভিগনেশ৷ সেক্রেটারিয়েট কলোনি পুলিশ স্টেশনে ১৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ভিগনেশের। একজন কনস্টেবল, সাব-ইনস্পেক্টর এবং একজন হোম-গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়৷ প্রাথমিকভাবে ভিগনেশের মৃত্যু নিয়েই তদন্ত শুরু হয়। তবে পুলিশ হেফাজতে এই মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্রাইম ব্রাঞ্চ-সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয় তদন্তভার৷

কোন ধারায় মামলা?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নং ধারা এবং এসসি-এসটি আইনে ছ'জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর ওই ছ'জন হলেন সিনিয়র সাব-ইনস্পেক্টর কুমার, প্রধান কনস্টেবল মুনাব, জি-৫ সেক্রেটারিয়েট পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল পৌনরাজ এবং রিজার্ভড কনস্টেবল জগজীবনারম এবং চন্দ্রকুমারের হোমগার্ড দীপক।

চাপে স্টালিন সরকার!
সাম্প্রতিককালে একাধিকবার পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বহুক্ষেত্রে আইনরক্ষকদের অমানবিকতার চিত্রও প্রকাশ্যে এসেছে। কাজেই চেন্নাইয়ের এই ঘটনায় চাপে পড়েছে এম কে স্টালিন সরকার। সেই কারনেই পুলিশের তদন্তে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ, সিআইডিকে এই দায়ভার সঁপে দিয়েছে তারা৷ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ইঙ্গিত মিলছে অটোপসি রিপোর্টেও। দেখা যাচ্ছে, ২৫ বছর বয়সী ভিগনেশের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যদিও এই রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারন সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি সেভাবে৷ প্রাথমিকভাবে এই রিপোর্ট দেখেই ছ'জন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সঈদাপেট জেলার ম্যাজিস্ট্রেট৷
স্বস্তিতে বগ্গা, গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ জারি পাঞ্জাব-হরিয়ানা কোর্টের