মন্দার মাঝেও করোনা লকডাউনে সর্বাধিক কাজ উত্তরপ্রদেশেই! অন্যান্য রাজ্যের চিত্রটা ঠিক কিরকম?
পিএমইজিপি-র অধীনে কাজ পেয়েছেন ১ লক্ষ মানুষ, সর্বাধিক কাজ উত্তরপ্রদেশে
করোনা মহামারীর জেরে তীব্র আর্থিক মন্দায় গোটা দেশ। সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারত্বের পরিমাণ। করোনাকালেই কাজ হারিয়েছেন ভারতের প্রায় ১২ কোটির বেশি মানুষ। চরম দুর্দশায় অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা। এমতাবস্থায় খানিক উল্টোপথে হেঁটে করোনা লকডাউনে সর্বাধিক কাজের দিশা দেখাল উত্তরপ্রদেশই।
লকডাউনে খানিকটা হলেও আশা যোগাচ্ছে পিএমইজিপি
সূত্রের খবর, লকডাউন ও আনলক পর্বে প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রামের (পিএমইজিপি) আওতায় সারা দেশে এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কাজ পেয়েছেন ১ লক্ষ ১০,০০০ হাজার জন। পিএমইজিপি-র অধীনে সর্বাধিক কাজ হয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগেই (এমএসএমই)।
সর্বাধিক কাজ উত্তরপ্রদেশেই
লকডাউন চলাকালীন সময়ে এই সেক্টরে সর্বাধাক কাজ হয় উত্তরপ্রদেশে। যোগী রাজ্যে কাজ পান প্রায় ১৪ হাজার ৬১৬ জন। উত্তরপ্রদেশের পরেই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর। সেখানেও একটা বড় অংশের মানুষ কাজ পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সংখ্যাটা প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি।
অন্যান্য রাজ্যের চিত্রটা ঠিক কিরকম ?
এদিকে এই সময়ের ব্যবধানে বিহারে কাজ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১৬৮ জনের। তারপরেই রয়েছে হরিয়ানা। সেখানে কাজ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮জনের। অন্যদিকে পিএমইজিপি-র অধীনে উত্তরাখণ্ডে অগাস্ট পর্যন্ত কাজ হয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ জনের। ঝাড়খণ্ডে ১ হাজার ৩৩৬ জনের। দিল্লিতে ৭২ জনের।
বিগত তিন বছরে কেমন কাজ হয়েছে মোদী জমানায় ?
সম্প্রতি কেন্দ্রের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রকের (এমএসএমই) তরফে লোকসভায় এই তথ্য পেশ করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই প্রকল্পের অধীনে চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত যেখানে ১ লক্ষের কিছু বেশি কাজ হয় গোটা দেশে সেখানে গত অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার।
সার্ক বৈঠকে প্রথম থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতের! চিন-পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে দাপুটে বার্তা জয়শঙ্করের