মহাভারতের দৈব অস্ত্র চালনার বিস্তারিত মন্ত্র বিদ্যার খোঁজ মিলল
আজ থেকে ১২০ বছর আগে এই পাণ্ডুলিপিগুলির পুনর্লিখন হয়েছে
সম্প্রতি অষ্টবৈদ্যন বৈদ্যমাধম চেরিয়া নারায়ণন নামবুদিরি (সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয়েছে)-র সংগ্রহ থেকে কয়েকটি পাণ্ডুলিপি মিলেছে যেখানে এই সমস্ত অস্ত্র চালনার মন্ত্রের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। পাম পাতায় ৬৩ ধারার এই পাণ্ডুলিপি রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, আজ থেকে ১২০ বছর আগে এই পাণ্ডুলিপিগুলির পুনর্লিখন হয়েছে। এই পাণ্ডুলিপি ভারতে আবিষ্কৃত প্রথম পাণ্ডুলিপি যেখানে মহাভারতে ব্য়বহৃত এই সমস্ত মারণাস্ত্র প্রয়োগের ৪৮টি বিস্তারিত মন্ত্র বর্ণিত হয়েছে।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্স (সিসিআরএএস)-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার এ আর কৃষ্ণকুমার জানিয়েছেন, প্রয়াত নারায়ণন নামবুদিরির ইচ্ছা ছিল তাঁর সংগৃহীত সমস্ত পাণ্ডুলিপিকে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সংরক্ষিত করা হোক। সিসিআরএএস ছাড়াও দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ন্য়াশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টস (আইজিএনসিএ)-এর সদস্য কৃষ্ণকুমার। পাণ্ডুলিপির ডিজিটাইজেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই আইজিএনসিএ-কেই। ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে এই পাণ্ডুলিপি বিশেষ আলেকপাত করবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত যে পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার থেকে এযাবৎ মাত্র ১৫ শতাংশ তথ্য নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। আয়ুর্বেদ হল ঔষধবিদ্যায় পৃথিবীর সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। পাঁচ লক্ষ পুরনো পাণ্ডুলিপিতে যে তথ্য রয়েছে তা যদি মানুষের নাগালের মধ্যে এনে দেওয়া যায় তাহলে আয়ুর্বেদের জ্ঞানকে আরও বেশি কার্যকর করা যাবে। এই উদ্দেশ্যেই প্রাচীনের এই সব মূল্যবান তথ্যের ডিজিটাইজেশন শুরু করে দিয়েছে আইজিএনসিএ।
কেরলায় বিভিন্ন লাইব্রেরি ,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু পুরাণের পাণ্ডুলিপিক কিছু অংশ জোগাড় করে তা ডিজিটাইজ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। দ্বিতীয় পর্যায়ে নামবুদিরির পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের কাজ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণকুমার।