আসন্ন বাজেট ঘিরে চড়ছে আশা-আশঙ্কার পারদ! উপার্জন না থাকলেও দিতে হবে এই সমস্ত কর
নতুন বছর পড়তেই আসন্ন বাজেট ঘিরে ক্রমেই চড়ছে আশা-আশঙ্কার পারদ। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি শুরু হতে চলেছে চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন। উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর মাস ঘুরতেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট বেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিকে করোনাকালে ভারতীয় অর্থনীতির মন্দা দশা সহ একাধিক কারণে এবছরের ট্যাক্স স্ল্যাবে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।

বাজেট ঘিরে চড়ছে আশার পারদ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় ব্যবস্থায় মূলত দুই পদ্ধতিতে দেশবাসীর থেক রাজস্ব আদায় করে থাকে সরকার। প্রথমত ডিরেক্ট ট্যাক্স বা প্রত্যক্ষ কর আর দ্বিতীয়ত পরোক্ষ কর বা ইনডিরেক্ট ট্যাক্স। এদিকে সাধারণ ভাবে গত কয়েক বছরে বাজেটে প্রস্তাবিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায় করতে পারেনি কেন্দ্র। কিন্তু করোনা মন্দার মাঝেও বিগত বছরের শেষ থেকেই গোটা চিত্রটাই ধীরে বদালাতে শুরু করে।

ডিসেম্বরে ভাঙে জিএসটি আদয়ের অতীত রেকর্ড
এমনকী শেষ ডিসেম্বরের জিএসটি আদায়ের পরিমাণ অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলে। ফের ঘুরতে থাকে অর্থনীতির চাকা। যদিও আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রেও গত বছরে বড়সড় পারাপতন দেখা গিয়েছে বলেই মত অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমতাবস্থায় এবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরণের করে আদায়েই জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র।

কী এই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর ?
এদিকে প্রত্যক্ষ কর হল দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের ওপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। এর বিপরীতে রয়েছে পরোক্ষ কর বা মূল্য সংযোজন কর যা পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানী ও রপ্তানী এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়-বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। এদিকে প্রত্যক্ষ কর সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে, আয়কর এবং সম্পদ কর।
অন্যদিকে অন্যদিকে পরোক্ষ কর পণ্য উৎপাদন বা বিক্রয়ের সময় মূল্যের সাথে সংযোজিত থাকে যেটা ক্রেতা অর্থাৎ জনগণকেই পরিশোধ করতে হয়। যা ভারতীয় বাজারে বর্তমানে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি নামে পরিচিত।

ফের ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় অর্থনীতি ?
এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভারতে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের অঙ্ক ছিল ১১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩.৫ লক্ষ কোটিতে। সেখানে চলতি অর্থবর্ষেই ডিসেম্বরে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১.১৫ লক্ষের গণ্ডি। যদিও গত নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকায়। এমতাবস্থায় করোনাকালের শোচনীয় অবস্থায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবাই। আসন্ন বাজেট ঘিরেও বাড়চে আশার পারদ।

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, একুশের আগে কড়া সিদ্ধান্ত