নিয়ম না জেনে হয়রানির শিকার! রেলে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের
দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চালু হয়েছিল ২৫ মার্চ। তার আগের থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেলের যাত্রী পরিষেবা। প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় সেই পরিষেবা বন্ধ থাকার পর এবার ধীরে ধীরে ফের চালু হতে চলেছে রেল পরিষেবা। তবে এই পরিষেবা পেতে আগ্রহী পরিযায়ী শ্রমিকরা কি আদৌ রেলের নিয়মের বিষয়ে অবগত? উঠেছে প্রশ্ন।
অনলাইনে কীভাবে টিকিটি বুক করবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে শুরু হবে। ট্রেনের সূচি, বুকিং এর নিয়ম, যাত্রীদের প্রবেশ, চলাফেরা এবং কোচ পরিষেবার বিভিন্ন দিকগুলি জানিয়ে দেওয়া হবে ভারতীয় রেলের তরফে। তবে এই পুরোটাই হবে রেলের ওয়েবসাইটে। তবে পরিযায়ী শ্রমিকরা কীভাবে জানবেন সেসব তথ্য? অনলাইনে টিকিটিই বা কী করে বুক করবেন তাঁরা?
রেল পরিষেবা চালুতেও নিস্তার নেই শ্রমিকদের
অভিবাসী শ্রমিক ট্রেন নিয়ে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রেল। তবে সেই ট্রেনগুলিতে জায়গা হয়নি অনেক পরিযায়ী শ্রমিকেরই। এবার তাঁরা ট্রেনে টিকিট কেটেই ফিরতে চাইছেন বাড়ি। তবে তাতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের।
স্টেশনে স্টেশনে ভিড় করেন শ্রমিকরা
৫০ দিন পর ১২ মে থেকে ফের আংশিকভাবে ট্রেন পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। তবে এদিন বিকেল ৪টে থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার কথা থাকলেও ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করে যায়। অবশ্য এদিন অনলাইনের বিষয়টি না জেনেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্টেশনে ভিড় করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
লকডাউন ভঙ্গ
স্টেশনে স্টেশনে এই ভিড়ের জেরে লকডাউন ভঙ্গ হয় দেশএর বিভিন্ন প্রান্তে। দিল্লিতেও এদিন পরিযায়ী শ্রমিকরা স্টেশনে ভিড় করেছিলেন। তবে টিকিট না পেয়ে হতাশ হতে হয় তাদের। এদের বেশির ভাগের কাছেই স্মার্ট ফোন নেই। আর তা থাকলেও রেলের ওয়েবসাইটে বুকিং কী করে করতে হয় তা জানা নেই তাদের।
অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে কী করে টিকিট কাটবেন শ্রমিকরা?
প্রশ্ন উঠেছে, যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে খাওয়ার টাকা পর্যন্ত নেই তাদের কাছে কী করে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে রেলের টিকিট কাটা সম্ভব! রেল পরিষেবা চালু হলেও তাই পরিযায়ী সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
যে যে ট্রেন চলবে
১২ মে থেকে চালু হচ্ছে আংশিক রেল পরিষেবা। দিল্লি স্টেশন থেকে ছেড়ে ওই ট্রেনগুলি হাওড়া, ডিব্রুগড়, আগরতলা, পটনা, বিলাসপুর, রাঁচী, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, অমদাবাদ এবং জম্মু-তাওয়াই যাবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। সমস্ত ট্রেনেই থাকবে এসি কোচ, খুব সীমিত সংখ্যক স্টেশনে দাঁড়াবে। ট্রেনের সময় সম্পর্কে বিশদ তথ্য যথাসময়ে জানানো হবে বলে রেল জানিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও শ্রম আইন রদ হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে! এর অর্থ কী?