সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, রোষের মুখে ইউআইডিএআই
আধার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য জানা যাচ্ছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে। এই রিপোর্টটি যিনি করেছিলেন তার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করল ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে এডিটরস গিল্ড এবং কংগ্রেস
আধার সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য জানা যাচ্ছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে। এই রিপোর্টটি যিনি করেছিলেন তার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করল ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে এডিটরস গিল্ড এবং কংগ্রেস।
আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই-এর হাতে থাকা তথ্য কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে তদন্তমূলক রিপোর্ট করেছিলেন দ্য ট্রিবিউন পত্রিকার সাংবাদিক রচনা খৈরা। যা নিয়ে সারা দেশেই সোরগোল পড়ে যায়। এবার ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সাংবাদিকের কাছে যারা আধার সংক্রান্ত তথ্য বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে জনস্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় একজন যে ভাবে সকলের সামনে আনলেন, তার বিরুদ্ধে কী ভাবে মামলা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এডিটর্স গিন্ড অফ ইন্ডিয়া। সাংবাদিককে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই এফআইআর সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলেও অভিযোগ করেছে এডিটরস গিল্ড। সংস্থার প্রেসিডেন্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে মামলা তোলার দাবি করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪ জানুয়ারি ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর বিএম পট্টনায়কের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
যদিও এই এফআইআর নিয়ে সাফাই দিয়েছে ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পুলিশের কাছে ঘটনাক্রম বর্ণনা করতে গিয়েই সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে কারও নাম থাকা মানেই তিনি অপরাধী নন, সাফাই ইউআইডিএআইএ-এর। তাদের দাবি এ ক্ষেত্রে কোনও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি, কিন্তু বেআইনি ভাবে তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে দ্য ট্রিবিউনের সাংবাদিক রচনা খৈরা রিপোর্ট করেছিলেন, মাত্রা ৫০০ টাকার বিনিময়ে আধারের ডেটাবেস পাওয়া যেতে পারে। সেইরকম একটি ম্যাসেজ পাওয়ার পর তার জবাব দেওয়ায় তথ্য পাওয়ার জন্য তাকে লগইনের তথ্যও দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টির বিশ্বাসযোগ্যতা পরীক্ষার করতে গিয়ে সাংবাদিক একজনের আধার নম্বর দেওয়ায়, তাকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছিল বলে দাবি। যদিও ইউআইডিএআই আধার তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও।