এবার উলটপুরাণ, বিদ্রোহী শিন্ডে গ্যাং থেকে মুম্বইয়ে শিবসেনা শিবিরে ফিরলেই দুই বিধায়ক
এবার উলটপুরান, বিদ্রোহী শিন্ডে গ্যাং থেকে মুম্বইয়ে শিবসেনা শিবিরে ফিরলেই দুই বিধায়ক
প্রায় ৪০ জন শিবসেনা বিধায়ক সহ বিক্ষুব্ধ সেনা নেতা ও মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বিজেপি শাসিত অসমে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তাদের বিজেপিতে যোগ প্রায় নিশ্চিত এরকমটা বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এবার পুরো উলটপুরানের খবর সামনে এল, দুই শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন৷ গত ২৪ ঘন্টায় তাঁরা নিরাপদে মহারাষ্ট্রে পৌঁছেছেন৷ সেই গল্প তাঁরা বর্ণনা করেছেন সংবাদমাধ্যমে৷
গোপনে মহারাষ্ট্র ফিরেছেন দুই শিবসেনা বিধায়ক!
সংবাদমাধ্যমের খবর ওসমানাবাদ থেকে গোপনে পালিয়ে এসেছেন শিবসেনা বিধায়ক কৈলাস পাটিল এবং নীতিন দেশমুখ মুম্বই ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সোমবার গভীর রাতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাদের বিভ্রান্ত করে ও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গুজরাট নিয়ে যাচ্ছিল। শিবসেনা সিনিয়র নেতাদের কাছে এরকমই তথ্য বর্ণনা করেছেন দুই নেতা। পাতিল জানিয়েছেন যে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের দলটি যখন থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল তখনই গাড়িটি রাস্তা পরিবর্তন করে ঘোডবন্দর রোড থেকে গুজরাটের দিকে যেতে শুরু করে৷ এ বিষয়টিতে সন্দেহ হওয়াতেই পাটিল কোনও রকম অজুহাতে দিয়ে মহারাষ্ট্র-গুজরাট সীমান্ত পুলিশ চেক পোস্টের কাছে তালাসারিতে গাড়ি থেকে নেমে যান৷
কিভাবে মুম্বই ফিরলেন পাটিল?
এরপর অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মুম্বাইয়ের দিকে প্রায় ৫ কিমি দ্রুত হেঁটে ফেরেন পাটিল এবং তারপরে মুম্বইয়ের দিকে বআসা একটি বাইকে চেপে ফেরেন তিনি৷ তিনি আরও বলেছিলেন যে তার পথে তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করেছিলেন এবং আসন্ন রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত বান্দ্রায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনে পৌঁছেছিলেন যেখান থেকে তাঁকে একটি নিরাপদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তখন থেকেই পাটিল ওই সুরক্ষিত বাড়িটিতেই রয়েছেন।
অপহরনের অভিযোগ দেশমুখের!
অন্যদিকে দেশমুখ দাবি করেছেন যে তাঁকে 'অপহরণ' করা হয়েছিল এবং বিদ্রোহীদের দল তাকে সুরাটে নিয়ে গিয়েছিল। সোমবারও মঙ্গলবার রাতে সেখানে ছিলেন তিনি৷ নীতিন দেশমুখ জানিয়েছেন, 'মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে, আমি গুজরাটের হোটেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম এবং কিছুটা দূরে এসে ভাড়া গাড়িতে চেপে মুম্বই ফিরি। গুজরাট পুলিশের এক শতাধিক কর্মী আমার পিছু নিয়েছিল যারা আমাকে গাড়িতে বসতে বাধা দিয়েছিল এবং তারা আমাকে জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।' দেশমুখের আরও অভিযোগ তাঁকে এরপর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ো কিছু ইনজেকশন দেওয়স হয় এবং তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এরকম প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছিল৷ যদিও এইগুলি সবই এখনও অভিযোগের তরেই রয়েছে, এ নিয়ে স্পষ্ট কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি দেশমুখ।
'তোমার অহঙ্কার আর চারদিনের', পোস্টার পড়ল শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়ির সামনে