পাঞ্জাবে এনকাউন্টার, পুলিশের গুলিতে খতম মুসওয়ালা হত্যার দুই দুষ্কৃতী
পাঞ্জাবে এনকাউন্টার, পুলিশের গুলিতে খতম মুসওয়ালা হত্যার দুই দুষ্কৃতী
গায়ক সিধু মুসওয়ালার হত্যাকাণ্ডের যুক্ত বন্দুকধারীদের মধ্যে সন্দেহভাজন দুই গ্যাংস্টার আজ বুধবার অমৃতসরের কাছে পুলিশের সাথে গুলির যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্যও। প্রথমে নিহতের নাম জগরূপ সিং রূপা , অন্য সন্দেহভাজন মনপ্রীত সিং ওরফে মান্নু কুসা। জানা গিয়েছে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে বিকাল ৪টে নাগাদ দিকে নিহত হয় ওই দু'জন।
ক্রসফায়ারে একটি নিউজ চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। রাজ্যের পুলিশ প্রধান গৌরব যাদবও অমৃতসর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ভাকনা গ্রামে এনকাউন্টার শেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তিনি খবর পেয়েছিলেন যে এই দু;জন ছাড়া একটি বাড়ির ভিতরে আরও দু'জন লোক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, একটি AK-47 রাইফেল, একটি পিস্তল এবং প্রচুর গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই দুষ্কৃতীদের থেকে।
পাঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি-গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্স দু'জনকে টেইলিংয়ের সময় দুপুরের দিকে এনকাউন্টার শুরু হয়। তারা দলে তিনজন ছিল। এখনও পলাতক একজন। এই দুজনকে ট্র্যাক করা হলেও দীপক মুন্ডিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় আবার অন্তত আটজন বন্দুকধারী ছিল যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগেই।
পুলিশ জগরূপ রূপাকে মৃত ঘোষণা করার কয়েক মিনিট আগে অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে এলাকাটি ঘেরাও করা হয়েছিল এবং লোকজনকে বাড়ির ভিতরে থাকতে বলা হয়েছিল৷
শুভদীপ সিং সিধু, ওরফে সিধু মুসওয়ালা, যিনি একজন গায়ক এবং র্যাপার ছাড়াও কংগ্রেস নেতা ছিলেন, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ ২৯ মে পাঞ্জাবের মানসা জেলার মুসা গ্রামের কাছে তাঁকে হত্যা করা হয়। মান্নু কুসা একটি AK-47 রাইফেল থেকে মুসওয়ালাকে প্রথম গুলি করেছিল। পাঞ্জাব, দিল্লি এবং মুম্বইয়ের পুলিশ এই মামলায় রয়েছে৷ এই হত্যাকাণ্ডটি কানাডা-ভিত্তিক সতিন্দরজিৎ সিং ওরফে গোল্ডি ব্রার নেতৃত্বে হয়েছিল, যে দিল্লির তিহার জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সাথে যুক্ত ছিল।
#WATCH | Encounter ensuing between police & gangsters at Cheecha Bhakna village of Amritsar district in Punjab pic.twitter.com/7UA0gEL23z
— ANI (@ANI) July 20, 2022
গোল্ডি ব্রার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পোস্টে বলা হয় যে এটি গত বছর একজন আকালি নেতা ভিকি মিডুখেরাকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবের ফরিদকোটে নথিভুক্ত আরও দুটি মামলার ক্ষেত্রে গোল্ডি ব্রারকে খুঁজে বের করার জন্য ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে। পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান-নেতৃত্বাধীন এএপি সরকারও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে সিধু মুসওয়ালার মৃত্যুর জন্য।