
মাঝ আকাশে অল্পের জন্য সংঘর্ষ এড়ালো দুটি বিমান, শতাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচালেন যিনি
মাঝ আকাশে অল্পের জন্য সংঘর্ষ (Collission) এড়ালো দুটি বিমান (Plane)। প্রাণ বাঁচল কয়েকশো যাত্রীর (Passenger)। ৭ জানুয়ারি দুটি বিমানই রওনা দেয় বেঙ্গালুরুর ক্যাম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। একটির গন্তব্য ছিল কলকাতা, অন্যটির ভুবনেশ্বর। দুটোই সেই সময় প্রায় ৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল।

একে এপরের কাছাকাছি চলে এসেছিল
বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E-455 এবং বেঙ্গালুরু থেকে ভুবনেশ্বগামী 6E-246 পাশাপাশি দুটি রানওয়ে থেকে একইদিকে যাত্রা শুরু করে। দুটিই এয়ারবাস A320 ছিল। আকাশে ওড়ার পরেই তারা খুব কাছাকাছি চলে আসে বলে জানা গিয়েছে।

প্রাণ বাঁচল র্যাডার কন্ট্রোলারের জেরে
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, র্যাডার কন্ট্রোলার ৪২ বছরের লোকেন্দ্র সিং-এ চেষ্টায় সেদিন প্রাণ বাঁচে শতাধিক যাত্রীর। তিনিই মাঝ আকাশে দুটি বিমানকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনে এমনটাই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। চূড়ান্ত দক্ষতায় লোকেন্দ্র সিং দুটি এয়ারবাসকে আলাদা রাস্তায় যাওয়ার নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে দুটি রানওয়েই বিমান ছাড়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল
বেঙ্গালুরুতে দুটি রানওয়ে রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ। উত্তরের রানওয়েটি ব্যবহার করা হয় বিমান ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর দক্ষিণের টি ব্যবহার করা হয়, বিমান নামার ক্ষেত্রে।
৭ জানুয়ারি, শুক্রবার সকালে দুটি রানওয়েই ব্যবহার করা হয়েছিল বিমান ছেড়ে যাওয়ার জন্য। তেমনই দুটিই নামার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ডিজিসিএ-তে যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে বলা হয়েছে, দক্ষিণের রানওয়ের ওয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার 6E-445 বিমানটিকে উড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে উত্তরের রানওয়ের ওয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার 6E-246 বিমানটিকে উড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সময় দুই ট্রাফিক কন্ট্রোলারের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না।

দুই ব্যক্তির কাজে গাফিলতি
ডিজিসিএ-র প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মাঝ-আকাশের এই ঘটনার কথা লগ বুকে রেকর্ড করেননি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। তারা এয়ারপোর্ট অথরিটিকেও জানাননি। বিষয়টি ওই দুই ব্যক্তির কাজে গাফিলতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

প্রাণ বাঁচল ৪২৬ যাত্রীর
জানা গিয়েছে, কলকাতাগামী বিমানটিতে ৬ বিমানকর্মী-সহ ১৮২ জন এবং ভুবনেশ্বরগামী বিমানটিতে ৬ বিমানকর্মী সমেত ২৪৪ জন, মোট ৪২৬ জন যাত্রী ছিলেন।
করোনা আক্রান্ত-মৃত্যুতে সবার আগে কলকাতা, পাল্লা দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা