দুই বাংলাদেশী নাগরিক পেলেন পদ্ম সম্মান! সইদ মুজাম্মেল আলি ও এনামুল হক সম্পর্কে কিছু তথ্য
দুই বাংলাদেশী নাগরিক পেলেন পদ্ম সম্মান! সইদ মুজাম্মেল আলি ও এনামুল হক সম্পর্কে কিছু তথ্য
বাংলাদেশী দুই নাগরিক এদিন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতিভবনে সম্মান পেলেন একাধিক জন। এদিন, ১১৯ জন পদ্মসম্মান প্রাপক এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন। দেশের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সম্মান এদিন যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই বাংলাদেশী নাগরিক। ভারতের এই সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে এদিন বহু বিশিষ্টি ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রপতিভবনে ভূষিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, কঙ্গনা রানাওয়াত থেকে শুরু করে পিভি সিন্ধু। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন বাংলাদেশী নাগরিক এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
সইদ মুজাম্মেল আলি কে?
সইদ মুজাম্মেল আলি এর আগে বাংলাদেশের প্রাক্তন হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি বর্তমানে কেরিয়ার ডিপ্লোম্যাট। তাঁকে এদিন পদ্ম সম্মানে ভূষিত করেছে ভারত। এই সম্মান মরণোত্তর সম্মান ছিল। ২০১৪ সালে তিনি নিজের কার্যকাল শেষ করেন। এরপর ৩০ ডিসেম্বর তাঁর জীবনাবসান হয়।
সইদ মুজাম্মেলের অবদান
বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত প্রবল লড়াই দিয়েছিলেন এই যোদ্ধা। তিনি সেই সময় পাক সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের আনুগত্য বাংলাদেশের বিদ্রোহীদের প্রতি দেখান। তার আগ তিনি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের কর্মী ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকে অন্তর্ভূক্ত হন।
এনামুল হক কে?
এনামুল হক একজন ভাষাবিদ। তাঁকে এদিন দেওয়া হয়েছে পদ্মসম্মান। ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এনামুল বহু বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বাংলাদেশের জাতীয় মিউজিয়ামেও তিনি কাজ করেছেন বহু বছর। এছাড়াও জাহাঙ্গিরনদর, বার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কাজ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বখতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং স্বর্ণপদক লাভ করেন।
পদ্ম সম্মান আদনান সামিকে
এদিন পদ্ম সম্মানে ভূষিত হন আদনান সামি। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই গায়ক বহু বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। তিনি দেশের নাগরিকত্বও পেয়েছেন। এদিন তাঁকে দেওয়া হয়েছে দেশের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সম্নান পদ্ম সম্নান। ফলে বাংলাদেশের দুই নাগরিক ছাড়াও এদিন পাাকিস্তনি বংশোদ্ভূত এই নাগরিকও পদ্ম সম্মান পেয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উল্লেখ্য , ১৯৫৪ সাল থেকে এই সম্নান দেশে প্রচলিত । মূলত, নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের অচেনা , অজানা প্রতন্য এলাকার মানুষ যাঁরা দেশের সেবায় একরোখা ভাবে কাজ করছেন , তাঁরা এই সম্মানের অংশিদার হবেন। এক কথায় দেশের আনসাং হিরোদের সম্মান দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র।