আর পাওয়া যাবে না আইনি সুরক্ষা, কেন্দ্র-টুইটার সংঘাতে হার বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইটের
যুদ্ধ চলছিল গত বছর থেকেই। এমনকী চলতি বছরে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার করলেও সরকারি গাইডলাইন না মানাতেই এবার বড় বিপদের মুখে টুইটার। আইনি যুদ্ধেও হার হল টুইটারের। এখনও থেকে আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় কোনও আইনি সহয়তা পাবে না এই বিশ্বখ্যাত মাইক্রোব্লগিং সাইট। এমনকী আদালতের দ্বারস্থ হয়েও মিলবে না কোনও সুরাহা।
ফলস্বরূপ, এখন থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় টুইটারের বিরুদ্ধে যে কোনও ফৌজদারি মামলা করা যাবে। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে একজন গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১৫ জুন অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত ছিল সেই সময়সীমা। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনও গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করেনি টুইটার। তারজেরেই তাদের উপর থেকে বর্তমানে আইন সুরক্ষা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ধারা ৭৯-র ক্ষমতা বলে, এতদিন তৃতীয় পক্ষের কনটেন্টের দায় বা আরও সহজ করে বললে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তৃতীয় পক্ষের কোনও তথ্যের নিয়ে সমস্যা হলে তা থেকে মধ্যস্থতাকারী বা মাধ্যমকে রেহাই দেওয়া হত। কিন্তু নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণেই এবার বেকায়দায় পড়তে চলেছে টুইটার। এদিকে গত ৫ জুন কেন্দ্রের শেষ নোটিশের পর অবশেষে শুরু ভাবনাচিন্তা করেছিল টুইটার। মিলেছিল এমনই খবর।
কতিন্তু তারপরেও প্রায় দশদিন কেটে যাওয়ার পর এখনও কেন্দ্রের শর্তপূরণ না করাতেই আইনি রক্ষাকবচ হারাল টুইটার। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের তরফে জারি করা একগুচ্ছ নির্দেশিকার নয়া বিধি অনুসারে প্রত্যেক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর জন্য রাখতে হবে একটি বিশেষ সেল। কোনও বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু সেই নিয়মেরই বর্তমানে কোনও তোয়াক্কা করছে না টুইটার।