তীব্র কয়লা সংকট, ১১০০ ট্রেন বাতিল করল রেলওয়ে
তীব্র কয়লা সংকট, ১১০০ ট্রেন বাতিল করল রেলওয়ে
তীব্র কয়লা সংকট দেশে। একের পর এক বাতিল হতে শুরু করেছে যাত্রী বাহী ট্রেন। কয়লা সংকটের জেরে ১১০০ ট্রেন বাতিল করল রেলওয়ে। ২৪ মে পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। কয়লা সংকটের জেরে দেশে বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে। একাধিক জায়গায় বাড়ছে লোডশেডিং। এর আগেও কয়লা সংকটের কারণে বাতিল করা হয়েছিল একাধিক ট্রেন। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আগেই জানিয়েছিল রেলমন্ত্রক।
বাতিল ১১০০ ট্রেন
একের পর এক ট্রেন বাতিলের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। ২৪ মে পর্যন্ত ১১০০ ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছে রেলমন্ত্রক। এর আগে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৫০০ এক্সপ্রেস মেল ট্রেন এবং ৫৮০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর আগে দেশের ৪০০টি রুটে ২৮০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকের বুকিং বাতিল করতে হয়েছে। অনেকেই ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না। আবার সামার ভ্যাকেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই কাজেই বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। কিন্তু একের পর এক ট্রেন বাতিল হতে শুরু করলে পর্যটকদের সমস্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে পর্যটনে বড় ধাক্কা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কয়লা সংকট
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশে কয়লা সংকট চরমে উঠেছে। তার জেরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে লোডশেডিং বেড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে রাজধানী িদল্লিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও সরব হয়েছিেলন এই নিয়ে।
কেন কয়লা সংকট
দেশের একাধিক কয়লাখনিতে কর্মীরা ধর্মঘটে গিয়েছে। কয়লা খনির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। তার জেরেই এই কয়লা সংকট দেখা দিয়েছে গোটা দেশে। এই কয়লা সংকটের জেরে তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে। যদি মহারাষ্ট্রে তেমন ব্যপক আকারে কয়লা সংকট দেখা যায়নি। ১৭৩টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৪িট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার যোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটা ঠিক হয়ে যাবে।
ভাড়া বৃদ্ধির আশঙ্কা
করোনা সংক্রমণের পর থেকেই ট্রেন যাত্রা দামি হতে শুরু করেছে। একাধিক ট্রেনের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের কয়লা সংকট এবং তার জেরে একের পর এক ট্রেন বাতিেলর জেরে ফের ভাড়া বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরে আবারও ট্রেন বাতিলের ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ বেড়েছে।