রাস্তার ট্রাফিক আপনার জীবনে কোন বিপদ ঘনিয়ে আনছে জানেন কী
রাস্তার ট্রাফিক আপনার জীবনে কোন বিপদ ঘনিয়ে আনছে
ট্রাফিকের ধোঁয়া বড় বিপদ ডেকে আনছে নাগরিক জীবনে। এমনই আশঙ্কার কথা শোনাল গবেষণা। সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে একদল পরিবেশবিদ । সেই গবেষণা পত্রটি একটি পরিবেশ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশ করেন তাঁরা। তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা জানিয়েছে ট্রাফিকের ধোঁয়া থেকে স্ট্রোকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ট্রাফিকে যে কালো কার্বন বেরোয় সেটাই স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ট্রাফিকের কালো কার্বনেই বিপদ
ট্রাফিকে কালো কার্বনের ধোঁয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। মূলত ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়ি থেকে যে কালো ধোঁয়া নির্গত হয় তার মধ্যেই থাকে ছোট ছোট কালো কার্বনের কনা। সেটাই বাতাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। প্রতিদিন এই কালো কার্বন শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। যার জেরে স্ট্রোকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। সুইডেনের স্টকহোমের বাসিন্দাদের উপর এই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা জেনেছেন, এই কালো কার্বনের কারণেই সেই দেশে অধিকাংশ মধ্য বয়স্ক ব্যক্তিদের স্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ছে।
বাড়ছে স্ট্রোকের প্রবণতা
গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, প্রতি কিউবিক মিটারে ০.৩ মাইক্রোগ্রাম কালো কার্বন নির্গত হয় ট্রাফিকের ধোঁয়া থেকে। যার কারণে ৪ শতাংশ হারে স্ট্রোকের প্রবণতা বাড়ছে। শুধু পথচারীরাই নন রাস্তার ধারে থাকা বাড়ির বাসিন্দাদের শরীরেও ক্ষতি করছে এই ট্রাফিক থেকে নির্গত কালো কার্বন। সুইডেনের এই কারণে স্ট্রোক হয়েছে প্রায় ৩১০০ বাসিন্দার।
ভারতে এর প্রবণতা বেশি
এই কালো কার্বনের কারণেই দিল্লি সহ অধিকাংশ বড় মেট্রো শহরে বাতাসে দূষণের পরিবান বাড়ছে। দিল্লি সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে শুকনো ফসল পোড়ানোর ধোঁয়ায় কালো কার্বনের কনা মিশে থাকছে। সেগুলি বাতাসে মেশার কারণেই দূষণ বাড়ছে। তার থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে বাসিন্দাদের।
কোচবিহারের পরিস্থিতি কাশ্মীরের থেকে কোনও অংশে কম নয়! তৃণমূলকে কোন পথে মোকাবিলা, বার্তা রাজুর