দিশার মুক্তির দাবিতে উত্তাল দেশ, পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি প্রাক্তন আমলা-বিচারপতিদের
দিশার মুক্তির দাবিতে উত্তাল দেশ, পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি প্রাক্তন আমলা-বিচারপতিদের
টুলকিট কাণ্ডে এবার কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল একাধিক বিশিষ্ট প্রাক্তন বিচারপতি, প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকদের। একইসাথে এই মামলায় যাতে দিল্লি পুলিশ কোনও বাধা ছাড়া স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাতে তা দেখার জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও চিঠি লিখলেন তারা। পাশাপাশি এই মামলায় মূল অভিযুক্ত পরিবেশ কর্মী দিশা রবিরও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন তারা।
সই করলেন কারা ?
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১৭ জন প্রাক্তন বিচারক, ১৮ জন ডিজিপি, দিল্লি পুলিশের এক প্রাক্তন কমিশনার, কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশনের এক প্রাক্তন আধিকারিক। এছডড়াও ওই চিঠিতে সই রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দুই প্রাক্তন সচিব, আইবি-র প্রাক্ত আধিকারিক এবং সিআরপিএফের এক প্রাক্তন ডিজি।
দিশার মুক্তির দাবিতে সরব বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ
এদিকে কৃষক আন্দোলনের আবহে টুলকিট কাণ্ডে দিশা রবির গ্রেফতারির পর এই মামলায় উঠে আসছে হাজারও তত্ত্ব। এমনকী বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকাও। যা নিয়ে গত প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে উত্তাল ভারতের রাজ্য-রাজনীতি। এমনকী দিশা রবির গ্রেফতারির পর সরব হতে দেখা গিয়েছে বুদ্ধিজীবি মহলের একাংশকেও। তাদের দাবি দিশার বয়স না দেখেই তার উপর দেশদ্রোহিতার অহেতুক অভিযোগ আনছে দিল্লি পুলিশ।
রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি
আর ঠিক এখানেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের একাধিক প্রাক্তন আমলা, পুলিশ আধিকারিক, আইনজীবীরা। তাঁদেরও সাফ বক্তব্য, দেশদ্রোহীদের বয়স হয়না। আর এই দিক থেকে দেখতে গেলে দিশা সাবালিকা। তার বয়স ২১ ছুঁয়েছে। তাই যারা দিশার বয়সের অজুজাতে মুক্তি চাইছেন তারা কায়েমী স্বার্থের কারনেই এই দাবি করছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই প্রাক্তন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারিরা। এমতাবস্থায় কোনও বাহ্যিক চাপের মুখে না পড়ে যাতে দিল্লি পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানা তাঁরা।
খর্ব হচ্ছে না বাক স্বাধীনতার অধিকার
একইসাথে পুলিশি তদন্তে দিশার বাকস্বাধীনতার অধিকারও কোনোভাবেই খর্ব হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তারা। এদিকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে মোট ৪৭ জন প্রাক্ত কর্তাব্যক্তির সই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে তালিকায় রয়েছেন রাজস্থান হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভিএস কোকজে, দিল্লি ও পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন, সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পারমড কোহলি, গুজরাটের বিচারপতি এস এম সনি ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রাক্তন ডিজিপি।
'কোনও নোটিশ দেয়নি ইডি', অন্যায়ভাবে পরিবারকে জড়ানো হচ্ছে, বিস্ফোরক ফিরহাদ