শ্রদ্ধা ওয়াকারের পরিণতি আর নয়! মহারাষ্ট্রে ইন্টার কাস্ট-ইন্টার ফেইথ দম্পতিদের জন্য প্যানেল, কটাক্ষ বিরোধীদের
মহারাষ্ট্র সরকার আন্তঃধর্মীয় এবং আন্তঃবর্ণ বিবাহে দম্পতিদের বিবরণ সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এক্ষেত্রে যদি কোনও মহিলার বাড়ির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সেব্যাপারে ওই মহিলার মায়ের দিকের পর
মহারাষ্ট্র সরকার আন্তঃধর্মীয় এবং আন্তঃবর্ণ বিবাহে দম্পতিদের বিবরণ সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এক্ষেত্রে যদি কোনও মহিলার বাড়ির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সেব্যাপারে ওই মহিলার মায়ের দিকের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে।
এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলপ্রভাত লোধা। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল শ্রদ্ধা ওয়াকার মামলার পুনরাবৃত্তি এড়ানো।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই প্যানেল জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবে। পাশাপাশি তারা নথিভুক্ত কিংবা নথিভুক্ত হওয়া ছাড়াও যেসব আন্তঃধর্মীয় এবং আন্তঃজাতি বিবাহ হয়েছে, সেব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করবে। জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যরা কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে কল্যাণমূলক প্রকল্প ও এই বিষয় সম্পর্কিত আইন-নীতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন।
পরিবার
থেকে
পালিয়ে
যাওয়ার
ক্ষেত্রে
এই
প্যানেল
সেই
মহিলা
এবং
পরিবারের
সদস্যদের
কাউন্সেলিং
করাবে
এবং
সমস্যার
সমাধানের
প্ল্যাটফর্ম
হিসেবে
কাজ
করবে।
প্যানেলের
নেতৃত্ব
দেওয়া
মহারাষ্ট্রের
মহিলা
ও
শিশু
উন্নয়ন
প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলপ্রভাত
লোধা
জানিয়েছেন,
অনেকক্ষেত্রেই
পরিবারের
অমতে
এই
ধরনের
বিবাহ
হয়ে
থাকে।
এইসব
ক্ষেত্রে
প্যানেলের
সদস্যরা,
কাউন্সিলরদের
সাহায্য
নিয়ে
সেই
পরিবারের
সঙ্গে
যোগাযোগ
করবে
এবং
সেই
মহিলাকে
পরিবারের
সঙ্গে
একত্রিত
হওয়ার
জন্য
চেষ্টা
করবে।
মন্ত্রী
বলেছেন,
শ্রদ্ধা
ওয়াকারের
ক্ষেত্রে
তিনি
যে
ছয়মাস
আগেই
মারা
গিয়েছেন,
তা
তাঁর
পরিবার
জানত
না।
এই
ঘটনা
যথেষ্টই
ভয়ের।
তাই
এই
ধরনের
ঘটনা
যাতে
আর
না
ঘটে,
সেই
চেষ্টাই
করবেন
তাঁরা।
যদিও
এই
ধরনের
কমিটি
গঠনের
তীব্র
বিরোধিতা
করেছে
মহারাষ্ট্রের
বিরোধী
এনসিপি।
তারা
এই
কমিটির
গঠনকে
সমাজে
পিছিয়ে
যাওয়া
বলেও
কটাক্ষ
করেছে।
সঙ্গে
তারা
বলেছেন
মানুষের
ব্যক্তিগত
জীবনে
গুপ্তচরবৃত্তি
করার
কোনও
অধিকার
নেই
একনাথ
শিন্ডে-দেবেন্দ্র
ফড়নবিশ
সরকারের।
এনসিপি
বিধায়ক
এবং
রাজ্যের
প্রাক্তন
মন্ত্রী
জিতেন্দ্র
আওয়াত
টুইটারে
রাজ্য
সরকারকে
মানুষের
ব্যক্তিগত
জীবন
থেকে
দূরে
থাকতে
পরামর্শ
দিয়েছেন।
তিনি
এই
প্যানেল
গঠন
সম্পর্কে
প্রশ্ন
করে
বলেছেন,
প্রগতিশীল
মহারাষ্ট্র
কোন
পথে
এগোচ্ছে।
এনসিপি
বিধায়কের
প্রশ্নের
উত্তরে
রাজ্যের
মন্ত্রী
মঙ্গলপ্রভাত
লোধা
বলেছেন,
বিরোধীদের
যেমন
সমালোচনা
করার
অধিকার
আছে,
তেমনই
সরকারে
অধিকার
আছে
মানুষের
জীবন
বাঁচানোর।
মন্ত্রী
আরও
জানিয়েছেন,
আগামী
১৫
জিনের
মধ্যে
আন্তঃধর্মীয়
এবং
আন্তঃবর্ণ
বিবাহে
আবদ্ধ
মহিলাদের
জন্য
একটি
হেল্পলাইন
চালু
করা
হবে।
Military Exercise: পূর্ব সেক্টরের চিন সীমান্তে ব্যাপক মহড়া শুরু করল ভারত! সঙ্গী রাফালে-সুখোই