আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন, দুই মহিলাকে বলি দিল কেরলের দম্পতি
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন, দুই মহিলাকে বলি দিল কেরলের দম্পতি
একটি নিখোঁজ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সামনে এল মানুষ বলির মতো নারকীয় ঘটনা। নিখোঁজ দুই মহিলাকে বলি দেওয়া হয়েছে বলে কেরল পুলিশ জানতে পেরেছে। কোচি ও কালাডি থেকে ওই দুই মহিলা নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে কেরল পুলিশ সূত্রে খবর।
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রলোভন
প্রাথমিক তদন্তে কোচি পুলিশ জানতে পেরেছে, পেরুমবাভুর ভিত্তিক এক 'এজেন্ট' এর সঙ্গে যুক্ত। ওই ব্যক্তি পাথানামথিত্তার এক দম্পতিকে আর্থিক লোভ দেখায়। তারপর দম্পত্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে অভিযুক্ত ব্যক্তি দুই মহিলাকে বলি দেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাথানামথিত্তার ওই দম্পতিকে বোঝানো হয়েছিল, এই পুজোতে মানুষ বলি দিতে হবে। পাথানামথিত্তার ওই দম্পতির বাড়িতে দুই মহিলাকে খুন করা হয়। কোচি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুটি ভিন্ন সময়ে দুই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।
মানুষ বলির সিদ্ধান্ত
কোচি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের নাম পেরুম্বাভুরের শফি ওরফে রশিদ। দম্পতি ভগবাল সিং এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা। কোচি পুলিশ জানিয়েছ, শফি দম্পতিকে প্রথমে আর্থ লাভের লোভ দেখায়। দম্পতিকে বলা হয়, মানব বলি দিলে তাঁদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে। আর্থিক স্বচ্ছলতার লোভে শফির প্রলোভনে পা দেন দম্পতি। এরপরেই দুই মহিলাকে নিজেদের বাড়িতে খুন করেন দম্পতি।
গ্রেফতার তিন
কোচি পুলিশের জেরায় দম্পতি জানিয়েছেন, মৃতদের দেহ দম্পতির বাড়িতেই পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ দম্পতির বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু মৃতদের কীভাবে দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসা হল, সেই নিয়ে বিস্তারিতভাবে পুলিশ জানতে পারেনি। কোচি পুলিশ অভিযুক্তদের এখনও জেরা করছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতরা হলেন কোচির এলামকুলামের বাসিন্দা পদম (৫২) ও কালাডির বাসিন্দা রোজলি (৫৩)। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, এই দুই মহিলাকে শফি আর্থিক প্রলোভনের লোভ দেখিয়ে দম্পতির বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।
বিহারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি
মানব বলির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস আগে বিহারে মানুষ বলির অভিযোগ উঠেছিল। তান্ত্রিকের নির্দেশে এক কিশোরীরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। কিশোরীকে স্কুল থেকে ফেরার পথে চকলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে কিশোরীকে অজ্ঞান করা হয়। তারপর তার চোখ দুটো তুলে নেওয়া হয়। তারপর কিশোরীকে হত্যা করা হয়। ওই তান্ত্রিক বা অভিযুক্ত কেউ কিশোরীকে চিনতেন না। বিহারের পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। তারপরে তান্ত্রিক ও অভিযুক্তকে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।