দেশের জন্যে শহিদ জওয়ান-অফিসারদের শেষকৃত্য কেমন হয়? তেরঙ্গাকে নিয়েও রয়েছে বিশেষ নিয়ম
দেশের জন্যে শহিদ জওয়ান-অফিসারদের শেষকৃত্য কেমন হয়? তেরঙ্গাকে নিয়েও রয়েছে বিশেষ নিয়ম
ভয়াবহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাতে প্রয়াত দেশের প্রথম চিফ অফ ডিদেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (General Bipin Rawat)। আজ শুক্রবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। এদিন সকালে CDS বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতে নিথর দেহ নিজে যাওয়া হয় দিল্লির বাড়িতে। সেখানেই সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানান তিন সেনার সর্বময় কর্তাকে। এরপর সেনার তরফে পূর্ণ মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন হবে মিস্টার এবং মিসেস রাওয়াতের।
বিশেষ মর্যাদায় শেষকৃত্য হবে
ভারতীয় সেনার যখন কোনও অফিসার কিংবা জওয়ান দেশের জন্যে প্রাণ ত্যাগ করেন তাঁদের শেষ বিদায় কিছু বিশেষ পদ্ধতি করা হয়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ কৃত্য সম্পন্ন করা হয়। দেশের প্রথম চিফ অফ ডিদেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (General Bipin Rawat)-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে পূর্ণ রাষ্ট্রিয় মর্যাদাতেই। কীভাবে গটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় সেনার তরফে। এই প্রতিবেদনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরা হল।
গোটা প্রক্রিয়া কেমন করা হয়
যখন কোনও সেনা আধিকারিক শহিদ হন তখন তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় একেবারে রাজকীয় সম্মানের সঙ্গে। সবার আগে শহিদের নিথির দেহ তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়। নিথর দেহের সঙ্গে ভারতীয় সেনার জওয়ানরাও থাকেন। রাজকীয় সম্মানের সঙ্গেই জওয়ানের দেহ ভারতীয় পতাকাতে মুড়ে দেওয়া হয়। গৌরবের বিষয় এটাই যে, Flag Code of India 2002-এর নিয়ম অনুসারে, দেশের জাতীয় পতাকা ভারতীয় সেনার অফিসার কিংবা জওয়ানদের কিংবা রাষ্ট্রীয় সম্মান পাচ্ছেন এমন দেহকে পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়।
ভারতীয় পতাকা কি করা হয়
নথির দেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়ার ক্ষেত্রে এক বিশেষ নিয়ম রয়েছে। জাতীয় পতাকাকে কফিনের উপরে রাখা হয়। পতাকার গেরুয়া ভাগকে সামনের দিকে রাখা হয়। তবে চাদরের মতো কিন্তু পতাকাকে তুলে ফেলা হয় না। এক্ষেত্রেও নিয়ম রয়েছে। পতাকাকে কখনও চিতার মধ্যে আগুনের জ্বালিয়ে দেওয়া কিংবা কবরে দেওয়া হয় না। শেষকৃত্যের আগে ওই পতাকা শহিদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় পতাকা ভাঁজ করার ক্ষেত্রে নিতুন নিয়ম রয়েছে। যেখানে অশোক চক্রকে সবার উপরের দিকে রাখতে হয়।
শোক সঙ্গীত বাজানো হয়
বীরের মতো হয় শেষকৃত্য। শেষকৃত্যের সময়ের মিনিটারি ব্যান্ডের মাধ্যমে শোক সঙ্গীত বাজানো হয়। আর এরপরেই বন্দুক গোলা ছোড়া হয়। সেটার ক্ষেত্রেও একটা নিয়ম রয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনে এই কাজ করা হয়।