কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে, দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের মাসিক উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ডিসেম্বরের মধ্যে কোভিশিল্ডের ১২ কোটি ডোজ ও কোভ্যাকসিনের ৫ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ দেশ পাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য রাজ্য সভায় বর্তমান ভ্যাকসিনের উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গে এই জবাব দিয়েছেন।

মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছে দুই সংস্থা
তিনি বলেছেন, 'ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীদের সঙ্গে কথোপকথনে জানা গিয়েছে যে মাসিক ভ্যাকসিন উৎপাদন ক্ষমতা কোভিশিল্ডের ১১ কোটি ডোজ থেকে বেড়ে মাসে ১২ কোটি ডোজ করা হবে এবং কোভ্যাকসিনের ২ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে প্রতি মাসে তা ৫ কোটি ৮০ লক্ষ করা হবে।' প্রসঙ্গত অগাস্ট-ডিসেম্বর মাসের এই সময়ে উপাদন ক্ষমতা বাড়াবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা।

ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়বে ভবিষ্যতে
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ভারতে এখনও পযন্ত ৪৭ কোটির বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং গোটা দেশকে যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ করানোর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে সরকার আশা করছে যে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে আরও চারটে ওষুধ সংস্থা দেশীয় ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করে দেবে যাতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে সহায়তা হয়।

আরও ২টি ভ্যাকসিন আসতে চলেছে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে বায়োলজিক্যাল ই এবং নোভার্টিস ভ্যাকসিন আর কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে উপলব্ধ হবে। এছাড়াও জাইডাস ক্যাডিলাকে বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে শীঘ্রই জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে।

ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে ২টি সংস্থা
বর্তমানে ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। স্পুটনিক ভ্যাকসিনও দেশে উপলব্ধ রয়েছে এবং এই ভ্যাকসিনের উৎপাদনও সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি এও বলেন, কেন্দ্র উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ কিনে তা বিনামূল্যে নাগরিকদের দিচ্ছে অন্যদিকে বাকি ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনছে বেসরকারি হাসপাতাল ও টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি।

দেশের সামগ্রিক টিকাকরণ
দেশজুড়ে সামগ্রিকভাবে টিকাকরণ করা হয়েছে ৪৭.৭৮ কোটি এবং সোমবার ৫৩.৬৭ লক্ষের বেশি মানুষকে টিকা পেয়েছেন দেশে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে সোমবার ১৮-৪৪ বছর বয়সের নাগরিকদের মধ্যে ২৭,৭৬,২৩৪ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৪,৮২,২৫৩ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে টিকাকরণে এগিয়ে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ। এই পাঁচ রাজ্যে এক কোটির ওপর টিকাকরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিশগড়, দিল্লি, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কেরল, তেলাঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িআ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৮-৪৪ বছর বয়সী সুবিধাভোগীদের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
