চিন সীমান্তে দেশের শেষ গ্রামে প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়নের বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
চিন সীমান্তে দেশের শেষ গ্রামে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
শুক্রবার উত্তরাখণ্ড সফরে প্রধানমন্ত্রী পর্যটকদের উদ্দেশে বলেন, ভ্রমণের মোট খরচের পাঁচ শতাংশ যেন স্থানীয় পণ্য কেনেন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্থানীয় পণ্য কেনার বিষয়ে জোর দেন। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে দেশীয় পণ্য কেনা প্রয়োজন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি ভারতীয়দের কাছে দাবি করেছিলেন।
চিনের সীমান্তবর্তী শেষগ্রাম উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ মানায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আমি দেশের সমস্ত পর্যটকদের কাছে তাদের ভ্রমণ বাজেটের অন্তত ৫ শতাংশ স্থানীয় পণ্য কেনার জন্য ব্যয় করার জন্য আবেদন করছি। আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত প্রান্তিক গ্রামগুলো সম্পর্কে বলেন, এই গ্রামগুলোই দেশের প্রথম গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রায় ১,০০০ কোটি টাকার রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয়েছে, দুটি রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মানা থেকে মানা পাস (NH07) এবং জোশীমঠ থেকে মালারি (NH107B) এই দুটি রাস্তা চওড়া করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সীমান্ত পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগের দিকে আরও একটা পদক্ষেপ এগোল ভারত বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামগুলোর সার্বিক উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হবে। এর ফলে সীমান্তের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেদারনাথ ও বদ্রীনাথে যান। সেখানে তিনি প্রার্থণা করেন বলে জানা গিয়েছে। কেদারনাথে, তিনি একটি রোপওয়ে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই রোপওয়েটি ৯.৭ কিমি কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এবং গৌরীকুন্ডকে কেদারনাথের সাথে সংযুক্ত করবে। বর্তমানে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথে যেতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগে। ৩০ মিনিট কমিয়ে দেবে বলে জানা গিয়েছে। রোপওয়ের জন্য আনুমানিক ২৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আদি শঙ্করাচার্যের সমাধিস্থলে প্রার্থনা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল গুরমিত সিং ও মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। কেদারনাথের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন কাজের খতিয়ে দেখেন মোদী। ধামি মোদিকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন। বদ্রীনাথে রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথ হয়ে তিনি চিন সীমান্তে শেষ গ্রামে যান। সেখানেই জনসভা করেন।
ভিআইপি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরব চিকিৎসক মহল, সাংসদদের দেওয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার এইমসের