একসাথে ২৫ স্কুলে চাকরি করে ১ কোটি বেতন, কারচুপি সামনে আসতে অবশেষে ধরা পড়লেন শিক্ষিকা
গতকালই সামনে আসে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষকের একসাথে ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করার ঘটনা। আদপে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই পূর্ণ সময়ের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা মাসিক গড় বেতনও নাকি প্রায় ১ কোটি টাকারও বেশি। কার্যত অসম্ভব মনে হলেও এমন তথ্য দেখে অবাক প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তবে বর্তমানে পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
শিক্ষকদের ডিজিটাল ডেটাবেস বানাতে গিয়ে এমনই এক শিক্ষিকার সন্ধান পায় উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তর। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। অবশেষ আজ সেই শিক্ষিকাকে পাকড়াও করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বিজ্ঞানের এই শিক্ষিকা চারটি জেলায় একাধিক স্কুলে চুক্তির ভিত্তিতে কয়েকমাস ধরেই শিক্ষকতা করে আসছেন। গতকালই তার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের হয়।
সূত্রের খবর, মৈনপুরীর বাসিন্দা অনামিকার কাছে এই বিষয়ে সরকারি নোটিশ যাওয়ার পরেই তিনি এক বন্ধুর মাধ্যমে কাসগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কাছে তার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন। যাকে ওই সরকারি আধিকারিকের দফতরেই আটক করা হয়। পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকা রাস্তাতেই ধরে ফেলে কাসগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কর্মীরা। তাকে তারপর সোরো থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে মানব সম্পদ পোর্টালে রাজ্যের কর্মরত শিক্ষকদের বিস্তারিত তাদের চাকরি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখ, প্রমোশন সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য আপলোডের কথা বলা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে অনামিকার এই কারচুপির কথা।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমেঠি, আম্বেদকরনগর, রায়েবরেলী, প্রয়াগরাজ, আলীগড় সহ আরও কয়েকটি জেলার প্রায় ২৫টি স্কুলে শিক্ষকা হিসাবে এতদিন কাজ করছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরপ্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কিরণ আনন্দ জানিয়েছেন, ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। এত নজরদারি সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটছে সেটাও আলাদা করে প্রশাসন খতিয়ে দেখবে বলে জানান তিনি।