সন্তানদের সামনেই প্রেমিককে চুম্বন মায়ের, আদালতের দ্বারস্থ পরিবার
সন্তানদের সামনেই প্রেমিককে চুম্বন মায়ের, আদালতের দ্বারস্থ পরিবার
বেঙ্গালুরুতে এক মহিলার বিরুদ্ধে তার সন্তান এবং স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে। মহিলার সন্তানরা স্থানীয় আদালতকে জানিয়েছেন যে তাঁরা তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতে চান না, কারণ তাঁদের মা সন্তানদের ভবিষ্যত ও জীবনের জন্য ক্ষতিকর। মহিলার কন্যা ও পুত্রের দাবি তাঁদের সামনে তাঁদের মা আপত্তিজনক আচরণ করেছেন।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বিবাহ–বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি পিবি বৈজন্তী এবং নটরাজ রঙ্গস্বামী লক্ষ্য করেছেন যে ওই মহিলা তাঁর বিবাহিত জীবন নষ্ট করার জন্য দায়ি। মহিলার স্বামী এই বিয়ে ভেঙে দিতে চান এরকম দাবির পরই মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে মহিলার স্বামী বিচ্ছেদ চেয়ে অঙ্কোলা আদালতে যান। আদালত দম্পতির সন্তান ও অন্যান্য প্রমাণ দেখার পর ওই বছরের অক্টোবরেই বিচ্ছেদে অনুমতি দেয়। কিন্তু মহিলা আদালতের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও সব প্রমাণই তাঁর বিপক্ষে যায়। মহিলার সন্তানরা আদালতকে জানায় যে তাঁদের মা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সন্তানদের সামনেই ঘনিষ্ঠ হন। সন্তানরা জানিয়েছেন, তাঁদের মা তাঁদের নিয়ে আইসক্রীম পার্লারে যান। সঙ্গে মায়ের প্রেমিকও ছিল। সেখানে গিয়ে সন্তানদের ১০–১৫ ফিট দূরে বসতে বলেন। সন্তানদের সামনেই মহিলা তাঁর প্রেমিককে চুম্বন করে ও জড়িয়ে ধরে।
১৯৯৩ সালে মহিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে জানান যে তিনি তাঁর অভিভাবকের সঙ্গে থাকতে চান। কিছু সময় পর ওই দম্পতি কুমতাতে থাকতে আসেন এবং এখানে এক ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ওই মহিলা স্বামীকে খুন করার জন্য ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর গায়ে কেরোসিনও ঢেলে দেন। মহিলার স্বামী কোনওমতে পালিয়ে বাঁচেন এবং দম্পতি অন্য গ্রামে চলে যান। ২০০৫ সালে ওই মহিলা মোবাইল ফোন কেনেন এবং অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। তাঁর স্বামী জানান যে তাঁর স্ত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন। কিন্তু তাঁর স্বামীকে বলতেন যে তিনি তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন। ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর মহিলার প্রেমিকের মেসেজ ফোনে দেখতে পান তাঁর স্বামী। মহিলাকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রেগে যান। যদিও তাঁদের সন্তানরা তাঁদের মায়ের প্রেমের বিষয়ে সব বলে দেন।