ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ শর্তাবলী প্রকাশ করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক
ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ শর্তাবলী প্রকাশ করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য একগুচ্ছ শর্তাবলী প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। নির্দেশিকায় যাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনের উল্লেখ রয়েছে। রবিবার ওই শর্তাবলীতে বলা হয়েছে যে দেশিয় বিমান, ট্রেন বা অন্য কোনও আন্তঃরাজ্য পরিবহনের মাধ্যমে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আসলে তাঁদের এই শর্তগুলি মেনে চলতে হবে।
২৫
মে
থেকে
দেশিয়
উড়ান
পরিষেবা
ও
১
জুন
থেকে
১০০
জোড়া
ট্রেন
পুনরায়
চলবে
বলে
জানানো
হয়েছে।
এরপরই
এই
শর্তাবলী
নিয়ে
আসে
সরকার।
এই
শর্তাবলীতে
বলা
হয়েছে
যে
বিভিন্ন
রাজ্য
সরকার
তাদের
নিজস্ব
মূল্যায়ন
অনুযায়ী
কোয়ারান্টাইন
ও
আইসোলেশন
কেন্দ্র
গড়ে
তুলতে
পারবে।
নির্দেশিকায়
বলা
হয়েছে,
সব
যাত্রীদের
সামাজিক
দুরত্ব
মেনে
চলতে
হবে
এবং
সর্বদা
সুরক্ষা
মাস্ক
পরতে
হবে।
সব
যাত্রীদের
আরোগ্য
অ্যাপ
ইনস্টল
করা
বাধ্যতামূলক।
উপসর্গ
নেই
এমন
যাত্রীরা
বাড়ি
যেতে
পারবেন
কিন্তু
তাদের
১৪
দিন
পর্যবেক্ষণে
থাকতে
হবে
এবং
যদি
কোনও
উপসর্গ
দেখা
দেয়
তবে
রিপোর্ট
করতে
হবে।
যে
সব
যাত্রীদের
শরীরে
হাল্কা
উপসর্গ
দেখা
দিয়েছে
তাঁরা
বাড়িতেও
আইসোলেশনে
থাকতে
পারেন
অথবা
কোভিড–১৯
কেয়ার
সেন্টারে
বহু
সরকারী
এবং
ব্যক্তিগত
সুবিধা
সহ
সেখানেও
থাকতে
পারেন।
বোর্ডিংয়ের আগে প্রত্যেক যাত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তাঁরা বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে যাবেন। এই ১৪দিনের মধ্যে ৭ দিন নিজেদের খরচে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে থাকবেন ও বাকি সাতদিন বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকবেন এবং নিজেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় মানবিকতার ভিত্তিতে বিপন্ন, জটিল শারীরিক ব্যাধি, পরিবারে মৃত্যু, ১০ বছর বয়সের নীচে থাকা নাবালক এবং গর্ভবতীদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
❑ যাত্রীদের কি করণীয় আর কি করণীয় নয় তা এজেন্সি দ্বারা টিকিটের মধ্যেই উল্লেখ থাকবে।
❑ প্রত্যেক যাত্রীকে মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক
❑ বিমান বা জাহাজে শুধুমাত্র স্ক্রিনিংয়ের পর অসংক্রমণহীন যাত্রীরাই বোর্ডিং করতে পারবে
❑ অসংক্রমণহীন যাত্রীরাই ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবেন।
❑ যাত্রীর দ্বারা পূরণ করা স্ব–ঘোষিত ডুপ্লিকেট ফর্মের প্রতিলিপি বিমানবন্দর/সমুদ্রবন্দর/স্থলবন্দরে উপস্থিত স্বাস্থ্য ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের দেওয়া হবে। এই ফর্মটি আরোগ্য সেতুতেও উপলব্ধ রয়েছে।
❑ পরিবেশগত স্যানিটাইজেশন এবং জীবাণুমুক্তকরণের মতো যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বিমানবন্দরগুলির পাশাপাশি ফ্লাইটের মধ্যেও নিশ্চিত করা উচিত।
❑ বোর্ডিং ও বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় সামাজিক দুরত্ব সহ সব ধরনেক সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
❑ কোভিড–১৯ নিয়ে ঘোষিত সতর্কতামূলক নির্দেশগুলি বিমানবন্দর, পোর্ট ও বিমান ও জাহাজের ভেতরও অনুসরণ করে চলতে হবে।
❑ বিমান বা জাহাজে বোর্ডিংয়ের সময় মাস্ক পরা, পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা, শ্বাস–প্রশ্বাসমূলক পরিচ্ছন্নতা, হাত পরিষ্কার রাখা সহ সব কিছু মানতে হবে।
❑ যাত্রীরা বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁদের স্কিনিং করা বাধ্যতামূলক এবং তা স্বাস্থ্য কর্মীর উপস্থিতিতে।
❑ স্ক্রিনিংয়ের সময় করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে এবং সব ধরনের চিকিৎসা সহযোগিতা করতে হবে।
❑ রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সরকার দ্বারা বন্দোবস্ত করা কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রে সব ধরনের সুবিধা সহ যাত্রীদের রাখা হবে
❑ সাতদিন সরকারি কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে
❑ আইসিএমআর নিয়ম অনুসারে টেস্ট করতে হবে যাত্রীদের
❑ যাত্রীদের মধ্যে কেউ পজিটিভ হলে তাঁর চিকিৎসা করতে হবে এবং হাল্কা উপসর্গদের কোভিড কেয়ার কেন্দ্রে রাখা হবে।
ফিরহাদকে 'বাসী মেয়রে’র তকমা! দিলীপের নিশানায় চামচা বনলেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা