২০২০-তেই প্রথম নয়, ভারতে লকডাউন হয়েছিল ১৯১৫-তেও, কিন্তু কারণ কী ছিল
এর আগে ‘লকডাউন’-এর সঙ্গে সেভাবে কেউই পরিচিত ছিলেন না। একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ করোনার প্রকোপে পড়ে এই লকডাউনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে 'লকডাউন'-এর সঙ্গে সেভাবে কেউই পরিচিত ছিলেন না। একবিংশ শতাব্দীতে মানুষ করোনার প্রকোপে পড়ে এই লকডাউনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। রেলের চাকা বন্ধ, মানুষের বাইরে বেরনো বন্ধ। গোটা দেশ থমকে গিয়েছে। এক-আধ ঘণ্টা নয়, প্রায় ৪০ দিন হয়ে গেল লকডাউন পালন করছে ভারতবাসী।
ভারতে ‘লকডাউন’ হয়েছে ১৯১৫ সালে
কিন্তু ২০২০-তে এসে ‘লকডাউন'-এর সঙ্গে সখ্যতা হলেও এর ব্যবহার আগেও হয়েছে ভারতবর্ষে। ইংরেজ আমলেই হয়েছে লকডাউন। একবার-আধবার, একাধিকবার লকডাউনে পড়তে হয়েছে ভারতবাসীক। তার মধ্যে শেষবার লকডাউন হয়েছে বিংশ শতাব্দীর প্রথমেই ১৯১৫ সালে।
ব্রিটিশদের সঙ্গে নিজামরাও মেনেছিল ‘লকডাউন’
তখন ভারতের বুকে ব্রিটিশ শাসন। কলেরার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনকেই বেছে নেওয়া হয়। হয়দরাবাদে কলেরার ব্যাপক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল তখন। শুধু ব্রিটিশ শাসকরাই নন, নিজামরাও মান্যতা দিয়েছিল লকডাউন প্রথাকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন, জাহাজও। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কোরায়েন্টাইন সেন্টারের নাম ‘কর্ডন স্যানিটেরজ’
সেইসময় একইভাবে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে ট্রেন আটকে যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছিল। তখ কোরায়েন্টাইন সেন্টারের নাম ছিল কর্ডন স্যানিটেরজ। প্রটিটি এলাকায় টহল দিত পুলিশ ও সেনা। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এলাকায় ঢোকা যেত না।
লকডাউন নয়, প্লেগ পাসপোর্ট
তখন লকডাউন নামে এই ব্যবস্থাকে পরিচিত করা হয়নি। তখন নাম ছিল প্লেগ পাসপোর্ট। এখন করোনা ঠেকাতে যে লকডাউন পালন করা হচ্ছে গোটা বিশ্বজুড়ে, আজ থেকে ১০৫ বছর আগে ১৯১৫ সালে সেই একই ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছিল। শুধু নাম ছিল আলাদা।
১৮৯৬-৯৭ সালেও ‘লকডাউন’
আর তার আগে উনিশ শতকের শেষে ১৮৯৬-৯৭ সালে প্লেগের মহামারী দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে এই প্লেগ হয়েছিল মু্ম্বইতে। তখনও ব্রিটিশ আমল। ব্রিটিশরা এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট তৈরি করে রাস্তা থেকে ভিড় কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিবহণ।