চিকিৎসক–স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবই দায়ি কোটা হাসপাতালের শিশু মৃত্যুর জন্য, দাবি বিশেষজ্ঞদের
চিকিৎসক–স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবই দায়ি কোটা হাসপাতালের শিশু মৃত্যুর জন্য, দাবি বিশেষজ্ঞদের
গত মাসেই কোটা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বহু নবজাতকের। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে শিশু মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। তারা তদন্ত করে দেখেছে যে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকের অভাব রয়েছে। তাই হাসপাতালে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এটাই শিশু মৃত্যুর আসল কারণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় দল।
এই জেলা হাসপাতালের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ যুক্ত হওয়ায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল পর্যবেক্ষণ করে যে রোগীদের যত্নের অভাব থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে, অথচ রোগীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তারা উদাসীন। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের দল বলেন, 'আমরা লক্ষ্য করেছি যে হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীর যথেষ্ট অভাব রয়েছে, অথচ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে ১৫০ এমবিবিএস পড়ুয়াদের শিক্ষা দেওয়া যেখানে দরকার, জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে।’ বিষেশজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর শিশু মৃত্যুর হ্রাস কমতে শুরু করেছে এবং যা মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যার ৭–৮ শতাংশ।
১৯৯২ সালের পর থেকে স্থানীয় সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত, কোটার জে কে লন হাসপাতালে ১০৭ জনেরও বেশি নবজাতক এবং শিশু মারা গিয়েছিল, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনার পর যোধপুর এইমসের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডাঃ কুলদীপ সিংয়ের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞের দল হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। তাঁরা দেখেন, হাসপাতালে ২২০ শতাংশ জায়গায় ভরে গিয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য কর্মীদের অভাব রয়েছে প্রায়। কিন্তু রোগীর বোঝা রয়েছে ৮০ শতাংশ।
নির্ভয়া কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত মুকেশের ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজ করল আপ সরকার