রণসজ্জায় খামতি না রাখতে রাশিয়ার থেকে নতুন যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাব ভারতীয় বায়ু সেনার
যুদ্ধের আগে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে নতুন যুদ্ধ বিমান কিনছে বায়ু সেনা
লাদাখ সীমান্তে চিন ভারত সংঘাতের আবহের মাঝেই এবার নতুন কিছু শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র কেনার প্রস্তাব দিল ভারতীয় বায়ু সেনা। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে ২১ টি মিগ-২৯এস এবং ১২ টি এসইউ-৩০এমকেআই সহ ৩৩ টি নতুন যুদ্ধবিমান সংগ্রহের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বায়ু সেনা।
রণসজ্জায় পুরোপুরি তৈরি থাকতে নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চাইছে বায়ু সেনা
এদিকে সীমান্তে যুদ্ধ সম্ভাবনা যতই বাড়ছে ততই ক্রমেই নিজেদের শক্তি বাড়াতে চাইছে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই বিমান থেকে নিক্ষেপ যোগ্য ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি বায়ু সেনা, নৌ সেনা এবং স্থল বাহিনীকে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরপরেই আরও বেশ কিছু নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চাইছে বায়ু সেনা।
সীমান্তে ইতিমধ্যেই ১০ হাজার সেনা মোতায়েন পিএলএ-র
সূত্রের খবর, আপদকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যেই বায়ু সেনা তার যুদ্ধ সামগ্রী লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে নিয়ে গেছে। এদিকে সোমবার রাতে প্রায় আট ঘণ্টা ধরে ভারত এবং চিনা সেনারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে ভারতের অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়। একইসাথে চিনের তরফেও ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার পর থেকেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ইতিমধ্যে সীমান্তে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি।
বর্তমানে কতটা শক্তিধর ভারতীয় বায়ু সেনা ?
এমতাবস্থায় আরও কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে ভারতীয় বায়ু সেনা। চিনকে এক বিন্দুও জমি না ছাড়তে আরও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সেজে উঠতেই বর্তমানে নতুন যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিকে বর্তমানে ভারতীয় বায়ু-সেনার কাছে ২০৮২টি যুদ্ধবিমান, ৬৯২টি হেলিকপ্টার, ৫২০ টি ফাইটার জেট, ১৭টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
লাদাখ সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় বেশি সুবিধা ভারতীয় সেনার
সূত্রের খবর, যুদ্ধ বাঁধলে ভারতীয় বায়ু সেনা অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধা পাবে। কারণ তিব্বত থেকে বোমারু বিমান অপারেট করতে পারবে না চিন। কিন্তু ভারতের সেই অসুবিধা নেই। একইসাথে ভারতের যুদ্ধাস্ত্রের সাপ্লাই লাইন থেকে মাত্র ২০০ থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লাদাখ সীমান্ত। অন্যদিকে সাপ্লাই লাইন পেতে হলে ১৫০০ থেকে ২৫০০ কিলোমিটার পেরোতে হবে লালফৌজকে।
যে সকল এলাকায় ভারতকে আক্রমণ করতে পারে চিন! একনজরে দেখে নিন এলএসি-র সেই অঞ্চলগুলি