ভোটে করোনা কাঁটা, পোল–বাউন্ড রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ভোটে করোনা কাঁটা, পোল–বাউন্ড রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও একবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। একদিকে, একাধিক রাজ্যে যেমন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তেমনই আবার উর্ধ্বমুখী ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। এদিকে, আগামী বছরের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে করোনা সংক্রমণ যে আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে নির্বাচন রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে কোভিড–১৯ টিকাকরণ দ্রুত গতিতে করার নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লক্ষ্য হল ভোট-নির্ভর রাজ্যগুলিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যেককে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করা।
২০২২ সালের প্রথমদিকে গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব এই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। কিন্তু দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস ও তার সঙ্গে দোসর হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্ক আর পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনকে ঘিরে জনসভা, প্রচার, এইসব কিছুই ভাবিয়ে তুলছে নির্বাচন কমিশনকে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আদৌও নির্বাচন পরিচালন সম্ভব হবে কিনা, তা জানতেই সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন।
GST নতুন নিয়ম! পয়লা জানুয়ারি থেকে অনলাইনে খাবার কিনলে দিতে হবে অত্যাধিক মূল্য
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব নির্বাচন ককমিশনকে প্রত্যেক নির্বাচনী রাজ্যের করোনা টিকাকরণের হার জানিয়েছেন। উত্তরাখণ্ড ও গোয়াতে প্রথম ডোজের করোনা টিকা একশো শতাংশ হয়ে গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ ৮৫ শতাংশের কাছাকাছি এবং মণিপুর ও পাঞ্জাবে ৮০ শতাংশের প্রথম ডোজ নেওয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। যেসব রাজ্যে করোনার টিকা কম হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সেইসব রাজ্যে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। যাতে জনসংখ্যাকে শীঘ্রই সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের করোনা পরিস্থিতি কীরকম এবং আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, তা জানতেই নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, করোনা ও ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে জানার পাশাপাশি করোনা বিধি মেনে কীভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি, সে সম্পর্কেও আলোচনা হয়। এছাড়া নির্বাচনের দিন ও গণনার দিন কী কী করোনাবিধি পালন করতে হবে, সে বিষয়েও স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। আগামী বছরই উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। হাই ভোল্টেজ উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু প্রচারে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। একাধিক রাজ্যে উর্ধ্বমুখী করোনা ও ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে নৈশ কার্ফু থেকে শুরু করে জমায়েত, একাধিক করোনা বিধি জারি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। বাকি রাজ্যগুলিতেও ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এখনও অবধি উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
এদিকে, নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসেই রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আগামী মাসেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল, নতুন বছরে খুব বেশি দেরী নয়, ৫ জানুয়ারির মধ্যেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে।