একই নামের কারণে মৃতদেহ অদল বদল, বাবার শেষকৃত্যের কাজ দু’বার করতে হল ছেলেকে
একই নামের কারণে মৃতদেহ অদল বদল, বাবার শেষকৃত্যের কাজ দু’বার করতে হল ছেলেকে
মৃত ব্যক্তিদের নাম এক হওয়ার কারণে হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ দুটি মিশে যায়। যার ফলে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাবার শেষকৃত্যের কাজ করতে হয় দু’বার। জানা গিয়েছে, মইনুদ্দিন নামে দুই মৃতদেহ লোক নায়ক হাসপাতালের মর্গে রখা ছিল। কালামুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তাঁর বাবার শেষকৃত্য দু’বার করেন।
মৃতদেহ অদল বদল
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে কালামুদ্দিন প্রথমে আইজাজ উদ্দিনের বড় ভাইকে সমাধিস্থ করেন এরপর দ্বিতীয়বার তাঁর বাবাকে। আইজাজ জানিয়েছেন, রবিবার তিনি হাসপাতালের মর্গে গিয়ে ২৫০টি মৃতদেহের মধ্যে তাঁর ভাইয়ের দেহ খুঁজে বেড়ান। কিন্তু এরপরই তিনি জানতে পারেন যে তাঁর ভাইয়ের দেহ একদিন আগেই অন্য এক পরিবার দিল্লি গেটের কবরস্থানে কবর দিয়ে দিয়েছে। আইজাজ এরপর তাঁর ভাইয়ের দেহ যিনি নিয়ে গিয়েছেন তাঁর কাছে যান এবং মৃতদেহের ছবি পাঠাতে বলেন। আইজাজ ছবি দেখার পরই তাঁর ভাইকে চিনেত পারেন।
গাফিলতি হাসপাতালের
বৃহস্পতিবার মর্গে কালামুদ্দিনকে যে দেহ দেখানো হয়েছিল তা চেনার উপায় ছিল না যে দেহটি তাঁর বাবার কিন্তু যে তথ্য পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল তা সঠিক ছিল। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের গাফিলতি। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘মাঝে মাঝে দেহ সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে কারণ মর্গে ঢোকার পর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায়, মৃত্যুর পর মুখ থেকে সব অভিব্যক্তি হারিয়ে যায়।' তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।
কিডনি ফেলিয়ার হয়ে মারা যায় কালামুদ্দিনের বাবা
কালামুদ্দিনের বাবা ডায়লাসিসের মধ্যে ছিলেন এবং তিনি পতপরগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন যেটি তাঁদের বাড়ির কাছে। কিন্তু ৪ জুন তাঁকে লোক নারায়ণ হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯-এর পরীক্ষা করাতে বলা হয়। ওইদিন রাতেই কিডনি ফেলিয়ার হয়ে তিনি মারা যান।
কোভিড–১৯ ছিল আইজাজের ভাইয়ের
অন্যদিকে আইজাজের ভাইকে ২ জুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কারণ তাঁর রক্তচাপ কমে গিয়েছিল ও পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মীরা ইসিজি পরীক্ষা করায় তিনি মারা যান। পরিবারের দ্বিতীয় দুঃখজনক ঘটনা ঘটে যখন স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে আইজাজের ভাইয়ের স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আইজাজের ভাইয়ের মৃত্যুর দু'দিন পর রিপোর্টে কোভিড-১৯ পাওয়া যায়। আইজাজ মর্গে ৫ জুন তাঁর ভাইয়ের দেহ নিতে গেলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁকে ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয় এবং যে দেহটি দেখানো হয়েছিল তা ভাইয়ের ছিল না।
ভার্চুয়াল জনসভার নামে চলছে টাকার খেলা, ১৫০ কোটি টাকা খরচের অভিযোগ অমিত শাহের বিরুদ্ধে