এলগার পরিষদ মামলায় এবার এনআইএ গ্রেফতার করল ৮৩ বছরের সমাজকর্মীকে
এলগার পরিষদ মামলায় এবার এনআইএ গ্রেফতার করল ৮৩ বছরের সমাজকর্মীকে
এলগার পরিষদ মামলার জেরে বৃহস্পতিবার এনআইএ গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ডের ৮৩ বছরের আন্দোলনকারী স্টান স্বামীকে। তাঁর রাঁচির বাসভবন থেকে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। আদিবাসীদের সামাজিক অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন সামাজিক আন্দোলন করে আসছেন এই সমাজকর্মী। এলগার পরিষদ কাণ্ডে এই নিয়ে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
স্বামী
একজন
খ্রীষ্টান
যাজক,
তাঁকে
এনআইএ
এ
বছরের
জুলাই
ও
অগাস্টে
জিজ্ঞাসাবাদ
করেছিল
এবং
এই
সপ্তাহে
মুম্বইয়ের
দফতরে
তাঁকে
তলবও
করে
এনআইএ।
কিন্তু
স্বামী
এনআইএকে
এক
বিবৃতির
মাধ্যমে
জানিয়েছিলেন
যে
তিনি
সফর
করার
মতন
পরিস্থিতিতে
নেই,
কারণ
তাঁর
বয়স
ও
মহামারির
জন্য।
তিনি
এনআইএকে
এও
জানিয়েছেন
যে
ঝাড়খণ্ড
সরকারের
নির্দেশানুসারে
৬০
বছর
বা
তার
ঊর্ধ্বে
ব্যক্তিদের
প্রকাশ্যে
যাওয়া
বারণ
এবং
ভিডিও
কনফারেন্সের
মাধ্যমে
প্রশ্ন
করা
হোক
তাঁকে।
স্বামী তাঁর বিবৃতিতে এও বলেন, 'আমার সঙ্গে যা ঘটছে তা আলাদা কিছু নয়। অনেক সমাজকর্মী, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, ছাত্র নেতা, কবি, বুদ্ধিজীবী সহ অন্যান্যরা আদিবাসী, দলিত ও প্রান্তিদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং শাসন ক্ষমতার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন তাঁদেরকেই নিশানা করা হয়েছে।’ এই মামলায় গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে তিনি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে প্রবীণ।
যদিও এনআইএ দাবি করেছে যে ধৃত স্বামীর সঙ্গে সিপিআই (মাওবাদী)–এর যোগ রয়েছে। স্বামী জানিয়েছেন যে তাঁকে জোর করে মাওবাদীদের সঙ্গে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি জানান যে তিনি আদিবাসীদের জন্য কাজ করেন এবং ভূমি অধিকার, সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব এবং বন অধিকারের বিষয়ে সরকারকে প্রশ্ন করেন তিনি। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে 'আমার বিশ্বাস এটাই প্রধান কারণ রাজ্য আমায় এভাবে তাদের পথ থেকে সরিয়ে ফেলতে আগ্রহী হয়েছে।’
এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করে পিপল’স ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিস (পিইউসিএল) বলেছে, 'এনআইএ ফাদার স্টানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে, যেখানে ফাদার স্টান ক্রমাগত তাঁর সঙ্গে চরমপন্থী বামেদের বা মাওবাদীদের যোগাযোগের তত্ত্ব অস্বীকার করেছে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে এনআইএ তাঁর কম্পিটার থেকে কিছু মনগড়া তথ্য নিয়ে তাঁকে দেখিয়েছে, যা স্টান অস্বীকার করেছেন।’
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ভিমা–কোরেগাঁও এলাকায় এক দলিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। দক্ষিণপন্থী একটি গোষ্ঠী এবং দলিতদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই ঘটনার পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ন’জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে এলগার পরিষদ মামলা রুজু হয়। অভিযোগ, এলগার পরিষদের সঙ্গে সরাসরি নকশালপন্থী তথা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীদের যোগ রয়েছে।
ট্রেন ছাড়ার পাঁচ মিনিট আগেও পাওয়া যাবে টিকিট, জেনে নিন রেলের আরও কিছু নতুন নিয়ম