স্কুলে 'ধর্মীয় পড়াশোনা'র আড়ালে জঙ্গি তৈরির কারখানা, কাশ্মীরে পুলিশের জালে তিন 'শিক্ষক'
জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের একটি মাদ্রাসা থেকে সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল একজন শিক্ষককে। পাবলিক সেফটি অ্যাকট্রে অধীনে ধৃত সেই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সিরাজ-উলুম ইমাম সাহিব (স্কুল) থেকে ধৃত সেই শিক্ষক থেকে জানা গিয়েছে যে পড়াশোনার আড়ালে জঙ্গি মনোভাবের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত ছাত্রদের।
গ্রেফতার তিন 'শিক্ষক'
জানা গিয়েছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে হামলায় চালানো সাজ্জাদে ভাটও এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ছিল। এদিকে সেই শিক্ষক ছাড়া আরও দুই জন শিক্ষককে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এছাড়া সেই স্কুলের থেকে ১৩ জন ছাত্র নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও শিক্ষকদের উপর কড়া নজরদারি
এদিকে এই খবর সামনে আসতেই সেই স্কুলের ৬-৯ জনের বেশি শিক্ষকের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এদিকে আরও জানা গিয়েছে যে এই স্কুলটি কাশ্মীরের নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামির অনুমোদন প্রাপ্ত। যার অর্থ, বকলমে সেই সংগঠনকে জঙ্গি সর্রবরাহ করা হয় এই স্কুলের তরফে। এই স্কুলের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
বেশিরভাগ ছাত্রই কুলগাম, শোপিয়ান, অনন্তনাগ থেকে আসে
জানা গিয়েছে সেই স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রই কুলগাম, শোপিয়ান, অনন্তনাগ থেকে আসে। এই এলাকাগুলিকে এমনিতেই জঙ্গি এবং বিচ্ছিনতাবাদের আঁতুর ঘর হিসাবে দেখা হয়। এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের মদতে এখান থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্যে নয়া জঙ্গিদের সংগঠনে ভর্তি করা হয়। এই আবহে এই স্কুল জঙ্গি তৈরির কারখানা চালাচ্ছে। এবং তা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাশ্মীর পুলিশের বক্তব্য
এই বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, 'বর্তমানে সেই স্কুলের প্রায় ৬ থেকে ৭ জন শিক্ষকের উপর আমরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। সিআপিসির ১০৭ নম্বর ধারার অধীনেই এই নজরদারি চালানো হচ্ছে। যদি কোনও প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমরা দোষীদের খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে স্কুলের তিনজন শিক্ষক, আবদুল আহাদ ভাট, রৌফ ভাট এবং মহম্মদ ইউসুফ বানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
পাঁচদিনে দ্বিতীয়বার, কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি সেনার অস্ত্র পাচারের চেষ্টা বানচাল ভারতের