তামিল রাজনীতিতে 'সুপারস্টার'-এর অভাব! অভূতপূর্ব নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে দ্রাবিড় ভূমি
বিগত প্রায় পাঁচদশক ধরেই তামিল রাজনীতি বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠত করুণানিধি ও জয়ললিতার ছবি। কয়েক দশক আগে পর্যন্ত ছিলেন এমজিআর। কিন্তু এবারের তামিল নির্বাচন কিছুটা আলাদা। করুণানিধি, জয়ললিতা নেই। স্ট্যালিন, পনিরসেলভাম, পালানিস্বামীরা থাকলেও নেই কোনও তথাকথিত 'বড়' নাম।
তামিল রাজনীতিতে নেই কোনও 'সুপারস্টার'
বহু দশক ধরেই তামিল রাজনীতির এক দিকে যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। অপরদিকে দাঁড়িয়েছিলেন এমজিআর, জয়ললিতা। এদিকে এমজিআর তামিল রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে। জয়ললিতাকে তামিল রাজনীতি হারিয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর সেভাবে 'বড়' নাম উঠে এলেও, সুপারস্টারের স্তরের কেউ উঠে আসেননি।
জয়ললিতা, করুণানিধির উত্তরাধিকারকে হাতিয়ার করার চেষ্টা
বরং এখনও জয়ললিতা, করুণানিধির উত্তরাধিকারকে হাতিয়ার করেই তামিল রাজনীতিতে নিজেদের জমি শক্ত করতে চাইছে পালানিস্বামী, স্ট্যালিনরা। আর এতে দ্রাবিড় রাজনীতি এক নয়া মোড়ে ঘুরবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই জে জয়ললিতার স্মৃতিসৌধ চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
শশীকলার প্রভাব
এদিকে তামিল রাজনৈতিক সমীকরণে এখন নতুন খেলোয়াড়ের নাম হল শশীকলা। শশীকলার ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যতক্ষণ না তিনি ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকে-র উচ্চপদে আসীন হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি হাল ছাড়বেন না। দল এখন পরিচালিত হচ্ছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম (ওপিএস) এবং মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী (ইপিএস)-র দ্বারা। জোটের ফল আরও ভালো করার জন্য শশীকলার ভাইপো টিটিভি দিনাকরণের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বেসরকারি ভাবে আলোচনা হয়েছে। তাতে ওপিএস ও ইপিএস এর সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে নিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইপিএস এবং ওপিএস উভয়েই ক্ষমতাচ্যুত হবেন?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে শশীকলাকে দলের ভার গ্রহণ করতে বলা হয়, তাহলে তিনি তা গ্রহণ করবেন। যদি মধ্যস্থতা তাঁর পক্ষে না যায়, তাহলে তিনি এআইএডিএমকে-কে পরাজিত করার লড়াইয়ে নামবেন। তার ফলে ইপিএস এবং ওপিএস উভয়েই ক্ষমতাচ্যুত হবেন। যার ফলে বর্তমান শাসক দল থেকে প্রচুর নেতা তাঁর পক্ষে চলে যাবেন।