RSS-এর দুর্গ নাগপুরে কংগ্রেসের চমকপ্রদ ফল! বিব্রত ক্ষমতাসীন বিজেপি সিনিয়র নেতারা
আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের মনোবল বৃদ্ধি। নাগপুর জেলার ১৩ টি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন এবং ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের জন্য হওয়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন পদের ন
আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের মনোবল বৃদ্ধি। নাগপুর জেলার ১৩ টি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন এবং ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের জন্য হওয়া নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন পদের নয়টি এবং ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদের আটটিতে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এনসিপি তিনটি চেয়ারপার্সন পদে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে একনাশ শিন্ডের শিবসেনা একটি চেয়ারপার্সন পদে জয় পেয়েছে।
বছরের প্রথমার্ধে চার IT কোম্পানিতে এক লক্ষের ওপরে ফ্রেশার নিয়োগ! সামনের কয়েকমাসে আরও নিয়োগের আশা
ফল বিজেপির সিনিয়র নেতাদের কাছে বিব্রতকর
নির্বাচনে
কংগ্রেসের
ফল
এমন
একটি
জেলায়
ভাল
হয়েছে,
যেখানে
আরএসএস-এর
সদর
দফতর
রয়েছে।
যে
কারণে
সিনিয়র
বিজেপি
নেতারা
যথেষ্টই
বিব্রতকর
জায়গায়
রয়েছেন।
কেননা
এই
নাগপুর
থেকে
জয়ী
হয়ে
নীতিন
গদকরি
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী।
এছাড়াও
মহারাষ্ট্রের
বর্তমান
উপমুখ্যমন্ত্রী
দেবেন্দ্র
ফড়নবিশ
এবং
রাজ্য
বিজেপির
প্রধান
চন্দ্রশেখর
বাওয়ানকুলের
কর্মকাণ্ড
এই
নাগপুরেই।
নাম
প্রকাশে
অনিচ্ছুক
এক
সিনিয়র
বিজেপি
নেতা
বলেছেন,
নাগপুর
জেলায়
কংগ্রেসের
এই
ফলাফল
উদ্বেগের।
বিজেপির
ভুল
নিয়ে
আলোচনা
করা
হবে।
তা
না
করলে
এই
এলাকা
থেকে
পরবর্তী
সময়ে
বড়
রাজনৈতিক
ধাক্কা
খেতে
পারে
বিজেপি।
কংগ্রেসের দাবি
নাগপুর
জেলায়
কংগ্রেস
সাওনার,
কলমেশ্বর,
পারসিওনি,
মউন্ডা,
কাম্পটি,
উমরেড,
বিভাপুর,
কুহি
এবং
নাগপুর
গ্রামীণে
পঞ্চায়েত
সমিতির
চেয়ারপার্সনের
পদ
জিতেছে।
অন্যদিকে
এনসিপি
কাটোল,
নারখেদ,
হিংনা
এবং
শিবসেনার
শিন্ডে
গোষ্ঠী
রামটেকে
জয়
পেয়েছে।
কংগ্রেসের
এই
জয়
সম্পর্কে
নাগপুরের
বাসিন্দা
তথা
প্রাক্তন
মন্ত্রী
নীতিন
রাউত
দাবি
করেছেন,
মহা
বিকাশ
আঘাদি
সরকার
তিনবছরে
তৃণমূলস্তরে
ভাল
কাজ
করেছে।
সেই
জন্যই
এই
জয়
এসেছে।
তিনি
দাবি
করেছেন,
পূর্বতন
সরকার
বিভিন্ন
জনকল্যাণমূলক
প্রকল্প
বাস্তবায়িত
করায়
জনগণের
আস্থা
অর্জন
করেছে।
এছাড়াও
কংগ্রেসের
নেতা
ও
মন্ত্রীরা
একটি
দল
হিসেবে
কাজ
করেছিলেন।
কংগ্রেসের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি
যদিও কংগ্রেসের এই দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারা বলছে, যে সব জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতিগুলির নির্বাচন হয়েছে, তা এমভিএ সরকারের অধীনে ছিল। সেই কারণে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা পূর্বতন সরকারের। সেই কারণে চেয়ারপার্সন এবং ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদে তারাই বেশি জয়ী হয়েছে। বিজেপির এই ব্যাখ্যাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস বলেছে, বিজেপি যদি জিতত তাহলে তারা রাজপথে নেমে বিজয় উল্লাস করত।
বিজেপির দাবি বেশি আসনে জয়
এদিকে সোমবার ৮৮৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩৯৭ টি আসন পেয়েছে। মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন বিজেপি আবার মহারাষ্ট্রে প্রথম দল হয়েছে। শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীকে সঙ্গে করে তারা ৪৭৮ টি আসনে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ফড়নবিশ। অন্যদিকে কংগ্রেস, এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ২৯৯ টি আসনে জয়ী হয়েছে।