এবার কর্নাটক বিধানসভা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট! রায়ের অপেক্ষায় ১৭ 'প্রাক্তন' বিধায়ক
কর্নাটকের ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল নিয়ে বুধবার রায় জানাতে চলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এবছরের জুলাইয়ে বিধানসভার আগেকার স্পিকার ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন।
কর্নাটকের ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল নিয়ে বুধবার রায় জানাতে চলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এবছরের জুলাইয়ে বিধানসভার আগেকার স্পিকার ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই ১৭ বিধায়ক সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। তিন বিচারপতি হলেন, এনভি রামানা, সঞ্জীব খান্না, কৃষ্ণা মুরারি। শুনানির পর ২৫ অক্টোবর আদালত এই মামলার রায় সংরক্ষণ করেছিল।
জুলাই মাসে কংগ্রেস ও জেডিএস থেকে ১৭ বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন। যার জেরে কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী সরকারের পতন হয়। এরপর তৎকালীন স্পিকার কেআর রমেশ দলত্যাগ বিরোধী আইনে এইসব বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করে দেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এবছরের সেপ্টেম্বরে আবেদনকারীদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
বাতিল বিধায়করা এর আগে আদালতের কাছে আবেদনে বলেছিলেন কর্নাটকে ১৫ আসনে উপনির্বাচনে তাদের যেন সুযোগ দেওয়া হয়। বিধায়কদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বর্যীসান আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এছাড়াও বিধায়কদের তরফে অন্য আইনজীবীরা হলেন আরয়ারা সুন্দরম, একে গাঙ্গুলি, কেভি বিশ্বনাথন, সজন পুভায়া এবং ভি গিরি।
অন্যদিকে উত্তরদাতাদের হয়ে আইনজীবী ছিলেন কপিল সিবাল এবং রাজীব ধওয়ান। তাঁর প্রাথমিক দাবি ছিল সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের। এবিষয়টি নিয়ে আবেদনকারীদের কোনও অধিকার নেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার, মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কেননা বিধায়কদের সবার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে, দলত্যাগ বিরোধী আইনে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বর্তমান স্পিকার ভিএইচ খাগেরির হয়ে আইনজীবী ছিলেন।