জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন, কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল SC
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন, কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল SC
৩৭০ ধারা সরানোর পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রেখেছে মোদী সরকার৷ একইসঙ্গে ডিলিমিটেশন কমিশনের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ও সীমানা পরিবর্তনের কাজ করছিল কেন্দ্র সরকার৷ সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা আসন ও সীমানা পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জুড়ে রিপোর্ট জমা করেছে ডিলিমিটেশন কমিশন৷ আবার এর বিরোধিতায় সুপ্রিম কোীটের আবেদনও জমা পড়েছে৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এই ডিলিমিটেশন অনুশীলনকে চ্যালেঞ্জ করে করা একটি আবেদনের জবাব চেয়েছে কেন্দ্র সরকারের থেকে।
বিরোধের সূত্রপাত কোথায়?
এই ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮৩ থেকে ৯০ করা হয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি লোকসভা আসনে সমান সংখ্যক বিধানসভা (১৮ টি করে) বসন রাখা হয়েছে৷ এই পদ্ধতি মানতে গিয়ে অন্তননাগের মতো দক্ষিণ কাশ্মীরের অংশকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে জম্মুর একটি অংশের সঙ্গে৷ এই ডিলিমিটেশন কমিশন কাজ শুরু করার পর থেকেই কাশ্মীরিতের রাজনৈতিক দলগুলির এর বিরোধিতা করে আসছিল৷ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এ প্রসঙ্গে বলেওছেন যে বিজেপির এজেন্ডা মতোই কাশ্মীরে বিধানসভা আসন তৈরি হয়েছে৷ সম্প্রতি এই ডিলিমিটেশন কমিশনের প্রস্তাবপরই বিরোধিতা করে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক আবেদনকারী৷
সমস্যা ঠিক কোথায়? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ
যদিও বিচারপতি এস কে কাউলের সভাপতিত্বে সুপ্রিমকোর্টের একটি বেঞ্চ পিটিশনকারীদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীর ডিলিমিটেশন কমিশন যখন প্রথম গঠিত হয়েছিল তখন কেন তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ করেনি। আবেদনকারীর উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, 'এই কমিশন যা জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে নিযুক্ত করা হয়েছিল, আপনারা প্রাথমিক পর্যায়ে এই কমিশনকে কেন কোনও চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করেননি। আমি জানতে চাই, আপনি কি এই কমিটির গঠনতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করতে চান? নাকি এই কমিটির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করতে চান? আপনি ঠিক কি চ্যালেঞ্জ করতে চান? সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি কৌল আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রবিশঙ্কর জানধ্যালাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন৷
কী বলছেন আবেদনকারীর আইনজীবী?
ডলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট বিরোধী আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনই এই ডিলিমিটেশন অনুশীলনটি গ্রহণ করতে পারে এবং এটি সাংবিধানিক বিধানগুলির বিরুদ্ধে যার অধীনে নির্বাচনী এলাকার পরিমাণ এখন ২০২৬ সালের পরের আদমশুমারি পর্যন্ত একই থাকবে। এবার আদালত এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি ৩০ আগস্ট হবে বলে জানিয়েছে৷ আবেদনকারীর আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই সময়ের মধ্যে ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট সংসদে পেশ হতে পারে! এবং তারপর সেটি লাগু হওয়া আটকানো মুসকিল হনে!
কী বলছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ?
আবেদনকারীর আইজীবীর বক্তব্যের উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের পক্ষে বিচারপতি এস কল বলেছেন, ' আমরা কি তাদের সংসদে পেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারি? আপনি যদি এই বিষয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন হন, তাহলে ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য কেন আপনি দুই বছর ঘুমিয়েছিলেন?
মুসলিম প্রতিনিধি দলের আবেদন শুনলেও, জ্ঞানব্যাপীর ভিডিওগ্রাফিতে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট