অযোধ্যা রায় ঘোষণার পর রিভিউ পিটিশন নিয়ে কী বললেন ওয়াকফ বোর্ড চেয়ারম্যান?
অযোধ্যা রায় ঘোষণার পর রিভিউ পিটিশন নিয়ে কী বললেন ওয়াকফ বোর্ড চেয়ারম্যান?
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফারিয়াব জিলানি বলেছিলেন যে তারা অযোধঅযা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দেওয়া এই রায়তে সন্তুষ্ট নন। পাশাপাশি বিকল্প আইনি পথ খুঁজে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার কথাও বলেছিলেন জিলানি। তবে জিলানির সেই পথে ওয়াকফ বোর্ড হাঁটবে না বলে জানিয়ে দিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি।
অযোধ্যা রায় সম্পর্কে ফারুকিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "অযোধ্যা জমি বিবাদ মামলায় বোর্ড কোনও রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে না।" তিনি আরও বলেন, "সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কখনই মসজিদ বানানোর জন্য বিকল্প কোনও জমি চায়নি। তবে আমরা শীর্ষ আদালতের বিকল্প জমি দেওয়ার রায়কে সম্মান জানাই।"
এর আগে রায় ঘোষণার পরেই আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের আইনজীবী জিলানি বলেছিলেন, "আমরা আদালতের রায়কে সম্মান করি। তবে এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা সবাইকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এটা কোনও হার নয়। এর বিকল্প যা আইনি পথ আছে। তা আমরা খুঁজে বের করব। জমিটি পুরোটা অন্য পার্টিকে দেওয়ায় আমরা শন্তুষ্ট নই।"
Zafar Farooqui, Chairman of Uttar Pradesh Sunni Central Waqf Board: We welcome and humbly accept the verdict of the Supreme Court. I want to make it clear that UP Sunni Waqf Board will not go for any review of the SC order or file any curative petition. pic.twitter.com/k5iUcuX08n
— ANI UP (@ANINewsUP) November 9, 2019
এরপর তিনি আরও বলেন, "আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। রাজীব ধাওয়ানের সঙ্গেও কথা বলব। আমাদের শরিয়াত আইন মেনে আমরা সেই মসজিদ দিয়ে দিতে পারি না। একবার যখন শীর্ষ আদালত সেখানে মসজিদ থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে, তাহলে কী করে তা আবার অন্য পার্টিকে তা দিয়ে দেওয়া হল? আমি এটাকে ন্যায়বিচার হিসাবে মানি না। মসজিদের ভেতরে যেখানে নামাজ আদায় করা হত সেই জমি কী করে আমাদের দেওয়া হয় না।"
আজ চরম উত্তেজনার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায় ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল সেই স্থানে শর্তসাপেক্ষে জমি পাবে হিন্দুরা। তবে মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদের বিকল্প জমি বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছে। অযোধ্যাতেই অন্যত্র ৫ একর জমি দেয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, ৩-৪ মাসের মধ্যে মন্দির ও মসজিদ তৈরি করতে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে।