শীর্ষ আদালতের প্রস্তাব : শ্রীনির বদলে সুনীল গাভাস্কার, রাজস্থান রয়্যাল-চেন্নাই সুপার কিং বাদ পড়ুক
এই প্রস্তাব অনুযায়ী চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস দুই দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সপ্তম আইপিএল খেলতে পারবে না দল দুটি। এবিষয়ে আদালতের বক্তব্য, বেটিং কাণ্ডে এই দুটি দলের নাম জড়িয়েছে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই দুটি দলকে আগামী আইপিএলে খেলতে দেওয়া উচিত নয়।
এদিনও বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসনকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মামলার শুনানি ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখনই যদিও কাউকে সরানো হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।
এর আগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মুদগল কমিটির তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে শ্রীনিবাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। বোর্ড সভাপতির পদ থেকে তাঁর সরে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে আদালত। এব্যাপারে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বোর্ডের জবাব তলব করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।
মাইআপ্পান প্রসঙ্গে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ নাম জড়ালো ভারতীয় অধিনায়ক ধোনির
যদিও আদালতের এই প্রস্তাবের জবাবে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি বোর্ড। সরসারি না বললেও সভাপতির পদ থেকে সরতে যে তিনি নারাজ তা হাভেভাবেই স্পষ্ট করেছিলেন শ্রীনিবাসন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে শ্রীনিবাসন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহলের একাংশ।
মুদগল কমিটির রিপোর্টে কয়েকজন বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটার নাম উঠেছিল বলে জানা গিয়েছিল। এদিন সুপ্রিমকোর্টে বেটিংকাণ্ড নিয়ে তদন্ত রিপোর্টের শুনানি চলাকালীনই উঠল ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নাম।
এই মামলার আবেদনকারীর তরফে অভিযোগ, তদন্ত কমিটিকে শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মাইয়াপ্পন প্রসঙ্গে ভুল তথ্য দিয়েছেন ধোনি। এমনকী চেন্নাই দলের মালিক শ্রীনিবাসনের সংস্থা ইন্ডিয়া সিমেন্টস৷ সেই সংস্থার কর্মচারি হিসেবে নাম রয়েছে ধোনিরও। প্রশ্ন তোলা হয়েছে চেন্নাই দলে ধোনির অধিনায়কত্ব নিয়েও।
উল্লেখ্য, বেটিং কাণ্ডে ময়াপ্পন গ্রেফতার হন। তিনি চেন্নাই সুপার কিংস দলের মুখ্য ছিলেন । কিন্তু তদন্ত কমিটির সামনে এই তথ্য ধোনি অস্বীকার করেন বলে মামলাকারির পক্ষে দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, আইপিএল থেকে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন মামলাকারি পক্ষের উকিল। শীর্ষ আদালত তাতে সম্মতি পোষণ করেছে।