করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলাকালীন নিরাপদ নয় গর্ভধারণ, বলছে সমীক্ষা
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলাকালীন নিরাপদ নয় গর্ভধারণ, বলছে সমীক্ষা
করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই কঠিন সময়ে গর্ভধারণের পরিকল্পনা নিরাপদ নয় বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।
নবজাতকেরও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও দম্পতি যদি এই সময়কালে গর্ভধারণের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে সেখানে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকছে। এক স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞের মতে, এই সময়কালে নবজাতকের জন্মের পর তার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।
গর্ভবতী মহিলাদের সাথে পরিবারের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
যারা ইতিমধ্যেই গর্ভবতী তাদেরকেও বিশেষ সচেতনতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গর্ভবতী মহিলাদের সংক্রমণ এড়াতে পরিবারের সাথেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই যেহেতু কম বেশি করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাই গর্ভাবস্থায় হাসপাতাল বা কোনোও জনসমাগম ও এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহিলাদের হতাশা এবং চিন্তা শিশুভ্রুণের উপর চাপ সৃষ্টি করছে
এই সময় গর্ভধারণ করলে স্বাভাবিক ভাবেই মায়ের সন্তানের বিষয়ে চিন্তা,উৎকন্ঠা হতে পারে, যা ভ্রুনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত গর্ভধারণের পরিকল্পনা বন্ধ রাখাই ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যারা ইতিমধ্যেই গর্ভবতী তাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা, এবং স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া।
বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ প্রয়োজন
হবু মায়েদের উদ্দেশ্যে বাড়তি কিছু সতর্কতা গ্রহন একান্ত কাম্য। বাইরে বা ডাক্তার দেখাতে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন হাত ধোওয়া একান্ত প্রয়োজন কেননা এই সময় মায়ের স্বাস্থ্যই শিশুর স্বাস্থ্য৷ এছাড়াও, যারা সদ্যজাতের জন্ম দিয়েছেন তাদেরও বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় শারিরীক পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারা কারা এড়াবেন ট্রেন, আবেদন করে জানাল ভারতীয় রেল