পঞ্জাব বিধানসভায় অধিবেশন নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত, তীব্র প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর
পঞ্জাবে আস্থা ভোট নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত
শুক্রবার পঞ্জাবে বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে। পঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত দ্বিতীয় বিধানসভায় আলোচ্য সূচির তালিকা রাজ্য সরকারের থেকে চেয়েছেন। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। অন্যদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর যে বিধানসভায় যে অস্থা প্রস্তাবের যে বিশেষ অধিবেশন হবে কি না, তা পঞ্জাব সরকার স্পষ্ট করেনি।
কী বললেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান টুইট করে বলেন, গত ৭৫ বছরে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কোনও রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল কোনও অধিবেশন ডাকার আগে আইনসভার কাজের তালিকা চাননি। প্রসঙ্গত, বিধানসভা অধিবেশনের জন্য রাজ্যপালের সম্মতি চাওয়ার সময়, সাধারণত আইন প্রণয়নের একটি তালিকা প্রদান করা হয়।
আপ সরকারের অধিবেশনের বিষয়বস্তু
২৭ সেপ্টেম্বর আপ সরকারের মন্ত্রিসভায় বিশেষ অধিশেন রয়েছে। এই অধিবেশনে বিদ্যুৎখাতে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা নিয়েছিল আপের মন্ত্রিসভা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আপের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা স্পষ্ট করে বলেন, অধিবেশন শুরুর আগে একটি সভা হবে। সেই সভায় আলোচ্য বিষয় স্থির করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বাতিল বিশেষ অধিবেশন
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ২২ সেপ্টেম্বর পঞ্জাব ভগবন্ত সিং একটি বিশেষ অধিবেশনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্জাবের রাজ্যপাল, সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেন। আপের অভিযোগ বিজেপি একের পর এক রাজ্যে লোটাস অভিযানের মাধ্যমে দেশের একের পর এক সরকার পতন করছে। পঞ্জাবে আপ সরকার নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রাজ্যপাল প্রথমে বিধানসভা তলব করেছিলেন। তারপর তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন।
রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া
আপ সরকার রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আপের তরফে অভিযোগ করা হয় একজন রাজ্যপাল অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ চাইতে পারেন না। রাজ্যপালরা বিজেপির বেতনভোগী কর্মচারীর মতো ব্যবহার করেন। পঞ্জাব বা অন্যান্য রাজ্যের রাজপাল দেকতে বুঝতে পারা যায়। আপ নেতা রাঘব চাড্ডা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আজ পাঞ্জাব রাজ্যের গভর্নর অপারেশন লোটাসের পক্ষ হয়ে সরব হয়ে উঠেছেন। এই অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে বিজেপি একের পর এক রাজ্যে সরকার পতন করে বিজেপি শাসিত সরকার নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, রাজ্যপাল প্রথমে অনুমতি দিলনে। তারপর তা প্রত্যাহার করে নেন। এটা অযৌক্তিক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।