সাপ ধরার চাকরি নিয়ে মার্কিন মুলুকে ২ ভারতীয়
'ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিশন' ভারতের তামিলনাড়ু থেকে ইরুলা উপজাতির মাসি সড়য়ইয়ন ও ভদিভেল গোপালকে নিয়ে যায়। তাদের নিযুক্ত করা হয় সেখানের সাপ ধরার কাজে।
তামিলনাড়ু, ২৭ জানুয়ারি : আপনি যদি সাপ মারতে ওস্তাদ হন তাহলে রয়েছে আপনার জন্য চাকরি। চাকরি সূত্রে সোজা পাড়ি দিতে পারবেন মার্কিন মুলুক। যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন তামিলনাড়ুর মাসি সড়াইয়ন ও ভদিভেল গোপাল। আর মার্কিন দেশে গিয়েই ২ সপ্তাহে ধরে ফেলেছেন ১৩ টি পাইথন।
অবাক হচ্ছেন ? তাহলে খুলে বলা যাক গোটা গল্প । বার্মিজ পাইথনের হানায় জেরবার হয়ে যায় গোটা ফ্লোরিডা। কিছুতেই ধর পাকড় করে পাইথনের উৎপাত বন্ধ করতে পারছিল না ফ্লোরিডা প্রশাসন। শেষমেশ 'ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিশন' ভারতের তামিলনাড়ু থেকে ইরুলা উপজাতির মাসি সড়য়ইয়ন ও ভদিভেল গোপালকে নিয়ে যায়। তাদের নিযুক্ত করা হয় সাপ ধরার কাজে। মূলত ইরুলা উপজাতির মানুষরা সাপ ধরার জন্য়ই বিখ্যাত। বংশ পরম্পরায় তারা এই কাজই করে থাকেন।
জানা গিয়েছে মাসি সদয়ইয়ন ও ভদিভেল গোপাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করবেন গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। তাঁদের সঙ্গে থাকবে পাইথনের সন্ধানকারী ২ টি 'ল্যাব্রাডর' -ও।
ভারতের এই ধুরন্ধর ২সাপ পাকড়াওকারীকে ৬৮,৮৮৮ মার্কিন ডলার ব্যয় করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২ জন অনুবাদককে। এমন এক পদে নিযুক্ত করার জন্য অনেক দিন ধরেই সাপ পাকড়াওকারী খুঁজছিল 'ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন কমিশন'।
ফ্লোরিডার বিভিন্ন অংশে পাইথনের হানায় মারা যাচ্ছে প্রচুর প্রাণী। তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রাণী এই হানার ফলে অবলুপ্তির দিকে যেতে বসেছে। স্বভাবতই তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ফ্লোরিডা প্রশাসনের। যদিও এই বার্মিজ পাইথন মূলত ভারতীয় সাপেরই একটি গোষ্ঠী। তবুও এর সংখ্যা ফ্লোরিডায় ৫০০০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে, ১০, ০০০ -এ। যখন তখন রাস্তায় চলতে ফিরেত দেখা যাচ্ছে এই পাইথন। সাপ ধরতে শেষে পুরস্কারেরও ঘোষণা করে ফ্লোরিডা প্রশাসন। ঘোষণা করা হয় যিনি সবচেয়ে বড় সাপটিকে ধরতে পারবেন তিনি পাবেন ১,৫০০ ডলার। কিন্তু শেষমেশ দ্বারস্থ হতে হয় দুই ভারতীয়র কাছে।