কেউটের কামড়ের পাল্টা কামড় দিল শিশু, ভবলীলা সাঙ্গ সাপের
Array
একে বলে পাল্টা। কিন্তু তা বলে এভাবে! সাপে কামড় দিয়েছিল ছোট্ট দীপককে। সেও পালটা কামড় দিল সাপকে। তারপরে সেও কামড়ে দিল সাপকে। আর ওই কামড়ে সাপটি মারা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের জাশপুর জেলায়।
সাপে কামড়
আট বছর বয়স দীপকের। যে কোনও মানুষকে সাপে কামড় দেওয়া মানেই মানুষের মনে ভয় ধরে যায়। তার উপর তা যদি বিষধর সাপ হয়ে যায় তাহলে আর কথাই নেই। সেখানে দীপককে কামড়ে দিয়েছিল বিষধর সাপই। একটি কেউটে সাপ কামড়ে দিয়েছিল তাকে। ছেলেটির হাতে জড়িয়ে যায় সাপ। ভয়ঙ্কর কামড়ে তুলে নেয় মাংস।
হাতে পুরো জড়িয়ে ধরে সাপ
দীপক জানিয়েছে যে, 'সাপটা আমার হাতটা পুরো জড়িয়ে ধরিয়েছিল। তারপর খুব জোড় একটা কামড় দেয়। আমার প্রচন্ড জোর লাগে ওই কামড়ে। যখন আমি ওটাকে হাত থেকে ছাড়াতে যাই। তারপর সেটি আমার হাতে আরও দ্বিগুণ জোড়ে কামড়ে দেয়। খুব কম সময়ের মধ্যে ঘটে যায় ঘটনাটি।"
সাপকে কামড়
এরপর
সে
সাপটিকে
কামড়ে
দেয়।
বাড়িতে
এসে
সে
ঘটনাটি
বলে।
তার
বাবা
মা
দ্রুত
তাকে
চিকিৎসা
কেন্দ্রে
নিয়ে
চলে
যায়।
তাকে
তাঁরা
সম্পূর্ণ
পরীক্ষা
করেন।
তাকে
একদিনের
জন্য
পর্যবেক্ষণে
হাসপাতালে
রেখে
দেওয়া
হয়।
তাঁরা
দেখতে
চায়
যে
তার
শরীরে
কোনও
বিষ
ঢুকেছে
কি
না!
দেখা
যায়
সে
সব
কিছু
হয়নি।
সাপ
যে
কামড়
দিয়েছে
তাতে
বিষ
ছিল
না।
পরের
দিন
দীপককে
হাসপাতাল
থেকে
ছেড়ে
দেওয়া
হয়।
কিন্তু
ঘটনা
ঘটে
এর
পড়ে।
জানা
যায়
যে
যে
সাপটি
দীপককে
কামড়েছিল
সেটি
মারা
গিয়েছে।
কেউটে
গোখরা প্রজাতির একটি সাপ যা দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া দেখা যায়। এটিকে আইইউসিএন কর্তৃক ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ গোখরোর ফণার পিছনে গরুর ক্ষুরের মত দাগ থাকে যার থেকে বাংলা গোক্ষুর নামটি এসেছে। অন্যদিকে ইংরেজিতে মনোকলড অর্থ হল একচোখা। এ সাপটিকে মনোকলড বলার কারন হল এই সাপের ফণার পিছনে গোল দাগ থাকে যা দেখতে একচোখা চশমার মত লাগে তাই এর ইংরেজি নাম মনোকল্ড কোবরা। সকল গোখরা প্রজাতির সাপ উত্তেজিত হলে ফণা মেলে ধরে। সাপের ঘাড়ের লম্বা হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে, তাতে চমৎকার ফণাটি বিস্তৃত হয়।
ইংরেজি কোবরার আক্ষরিক অর্থ হল গোখরা। প্রকৃত পক্ষে কোবরা হল নাজা নামক বিস্তৃত ও বৃহৎ সর্পগণ । এই গণে সকল প্রজাতির কোবরাকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। কোবরা ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও মিশর, আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, বার্মা, চীন ইত্যাদি দেশ ও অঞ্চলে দেখা যায়।