অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে জমা পড়তে চলেছে আরও রিভিউ পিটিশন, প্রস্তুতি ৬ আবেনকারীর
চার দিন আগেই অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ।
চার দিন আগেই অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দিয়েছে জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ। এরই মধ্যে এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আরও ছয়টি আবেনদকারীর পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি করছে বিভিন্ন পক্ষ। বৃহস্পতিবার এই কথা জানান অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড।
২ ডিসেম্বর প্রথম রিভিউ পিটিশন জমা পড়ে
এর আগে ২ ডিসেম্বর অযোধ্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা করে জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ। জজমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের তরফে এই আবেদন জমা করেন মৌলানা সৈয়দ আশাদ রশিদি। প্রসঙ্গত, তিনি মহম্মদ সিদ্দিকের ছেলে। এই মহম্মদ সিদ্দিকই অযোধ্যা বিবাদ মামলার প্রথম আবেদনকারী ছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে আবেনদ জানিয়ে সৈয়দ আশাদ রশিদি বলেন, 'সংবিধানের ১৩৭ নম্বর ধারার ক্ষেত্রে এই রায় ভুল।'
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বক্তব্য
এদিকে নতুন পিটিশন জমার ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সচিব জাফারিয়াব জিলানি বলেন, 'ছয়জন আবেদনকারীদের পক্ষে অযোধ্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর প্রস্তুতু চলছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে আমরা সেই রিভিউ পিটিশন জমা দেব।' তিনি জানান, সব প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি শেষ হলে তবেই তারা আবেদনের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে। এর আগে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মৌলনা ওয়ালি রহমানি জানিয়েছেন, মুসলিমরা বিচার বিভাগকে বিশ্বাস করেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিম চান অযোধ্যার রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হোক।
'ওই রায় আমাদের বোধগম্য হয়নি'
এর আগে জামিয়াত প্রধান মৌলানা আর্শাদ মাদানি রিভিউ পিটিশন জমা দিয়ে বলেন, "এই মামলার মূল ভিত্তি ছিল যে মন্দির ভেঙে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। এদিকে আদালত বলে যে এর কোনও প্রমাণ নেই যে মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল। তাহলে তো মুসলিম পক্ষের দাবিটাই সত্যি। কিন্তু রায়দান হল পুরো উল্টো। তাই আমরা সেই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করছি। কারণ শীর্ষ আদালতের ওই রায় আমাদের বোধগম্য হয়নি।"
বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়া হয়
৯ নভেম্বর বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল। এছাড়া মুসলিমপক্ষকে অযোধ্যাতেই পাঁচ একর জমি দিতে বলে শীর্ষ আদালত।
রায় নিয়ে বিচারপতিদের বক্তব্য
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের এই রায়তে বলা হয়, জমির উপর মালিকানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমদের দেওয়া প্রমাণের চেয়ে আরও ভালো প্রমাণ দিয়েছিল হিন্দু পক্ষ। জমির মালিকানা কখনও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেওয়া যায় না। মালিকানা স্থির করতে দরকার প্রমাণ। তাই বিতর্কিত জমি মন্দিরের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র বিজেপিতে ভাঙন! দলবদলে বিধায়করা কংগ্রেস-এনসিপির পথে