
নেমসেক হয়ে ট্রোলের শিকার গায়িকা অর্পিতা, ক্ষোভ উগরে দিলেন সোশ্যাল মাধ্যমে
তাঁর নামও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এটাই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াল। তাঁর ছবি ব্যাবহার করে তাঁকে ট্যাগ করে শুরু হয়ে গিয়েছে যথেচ্ছ ট্রোল। একের পর এক কু-কথা। আর তাতেই বিরক্ত গায়িকা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শেষে পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করলেন এবং নিজের পরিচয় আলাদা ভাবে দিয়েছেন এবং তিনি কীভাবে সমস্যার মুখে পড়েছেন তা নিয়ে তিনি সোশ্যাল মাধ্যমে লিখেছেন।

তিনি লিখেছেন যে, "আমি "গায়িকা অর্পিতা মুখার্জি" .. আমি সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নই যাকে ইডি আটক করেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি যে মহিলাকে আটক করেছে তিনি কলকাতার টলিউড অভিনেত্রী। আমি খুবই অবাক হয়েছি যে লোকেরা তাকে আমার প্রোফাইলের সাথে গুলিয়ে ফেলছে কীভাবে? আমাদের মধ্যে একেবারেই কোনও মিল নেই। আমার মনে হয় যে এটাই হল সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্যা। মানুষ বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে সত্য যাচাই করার জন্য এবং কাউকে অপমান বা ট্রোল করার কোনও সুযোগ ছাড়ে না। একটুও অপেক্ষাও করে না যে কার সম্বন্ধে কী বলা হচ্ছে। এই পোস্টটি ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য, যারা ক্রমাগত না জেনে বুঝে যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন"।
এদিকে,শুক্রবার রাতের দিকে টুইট করে ইডি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
ঘনিষ্ঠ আর্পিতা মুখোপাধ্যায় যিনি অভিনেত্রী এবং মডেল। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে তিনি যুক্ত বলে ইডি মনে করছে এবং তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার পরিমাণ ২০ কোটির বেশি। পরে শনিবার সকালে টাকা গোনার পরে দেখা যায় ২১ কোটি টাকার ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট রয়েছে সেখানে। এছাড়াও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ৫৪ লক্ষ টাকা সোনার গয়না। ইডি সূত্রে জাবি করা হয়েছে বেলঘড়িয়া এলাকায় তাঁর আরও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও একটি বাড়িও রয়েছে। যেখানে তাঁর মা থাকেন।
সব মিলিয়ে এখন যেমন বিপদে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, তার চেয়েও মহাবিপদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব। এখনও তাঁর দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা না বললেও। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার মহাসঙ্কটে তা বলা যেতেই পারে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। দল বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে যখন কিছু মনে করবে তারপর সেটা নিয়ে মন্তব্য করবে।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার বলেছেন তিনি দলনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পারেননি। সরকারের দিক থেকে ডামাডোল যে চরমে তা বলা যেতেই পারে। এখন এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের দিকেও ধেয়ে আসছে বিপুল চাপ।