ফের দ্বিতীয় দফায় বড় লগ্নি সিলভার লেকের! রিলায়েন্স রিটেলে ৭৫০০ কোটির বিনিয়োগের ঘোষণা
ফের বড় বিনিয়োগ রিলায়েন্সে! রিটেল ব্যবসায় ৭৫০০ কোটির বিনিয়োগ সিলভার লেকের
ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স জিওতে বিনিয়োগকারীদের তালিকায় প্রথমসারিতেই নাম ছিল বিশ্বের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগকারী সংস্থা সিলভার লেক পার্টনার্সের (এসএলপি) । সূত্রের খবর, জিওর ২% শেয়ার প্রায় ১০,২০৩ কোটি টাকায় কিনে নেওয়ার পর পুনরায় রিলায়েন্স রিটেলে ৭,৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করতে চলেছে সিলভার লেক। যার দ্বারা রিলায়েন্সের ১.৭৫% শেয়ার কিনে নিতে চলেছে ওই সংস্থা।
সিলভার লেকের প্রশংসায় মুখর মুকেশ আম্বানি
এদিকে এই বিনিয়োগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড(আরআইএল)-এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, "সিলভার লেক পার্টনার্স-এর সাথে একযোগে ভারতীয় রিটেল ক্ষেত্রে ছোট ব্যবসায়ীদেরও আমরা জায়গা দিতে বদ্ধপরিকর। আমার বিশ্বাস, আমাদের এই সহাবস্থান এমন এক ডিজিটাল ক্ষেত্র তৈরি করবে যেখানে রিটেল ক্ষেত্রের প্রভূত উন্নতিসাধন সম্ভব এবং এখানে সিলভার লেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।" এসএলপি ইতিমধ্যে ট্যুইটার, আলিবাবা, এয়ারবিএনবি, ডেল-এর মতো সংস্থায় বিনিয়োগ করেছে।
ভারতীয় রিটেল ক্ষেত্রকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা
বাজার অর্থনীতিকদের মতে, মহামারী অতিক্রান্ত হওয়ার পর ভারতীয় রিটেল ক্ষেত্রে আরআইএল তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে বড়সড় বদল আনতে সক্ষম। এমতাবস্থায় আরআইএলে এসএলপির এই বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মত তাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় বাজার সম্বন্ধে আরআইএলের দক্ষতা, এআই ও এআর/ভিআর সংক্রান্ত প্রযুক্তি এবং ডেটাপ্রদানের ক্ষমতা রিলায়েন্সের দিকে বিদেশি বিনিয়োগ টেনে আনছে। আরআইএলের বার্ষিক শেয়ার হোল্ডার সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন যে, "এই মুহূর্তে ভারতের সর্ববৃহৎ রিটেল সংস্থা আরআইএল এবং আগামী কিছু মাসের মধ্যেই আর বেশ কেকটি বড় লগ্নি আসতে চলেছে আরআইএলের ঝুলিতে।"
ফিউচার গ্রূপের সাথে চুক্তিস্বাক্ষর আরআইএলের
এদিকে গত মাসেই আরআইএলের সাথে ফিউচার গ্রূপের ২৪,৭১৩ কোটির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এফবিবি, নীলগিরিস, বিগবাজার, ফুডহল, ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরির ন্যায় পণ্য বিক্রেতা আরআইএলের ছাতার তলায় চলে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেল থেকে টেলিকম ব্যবসার সাথে যুক্ত আরআইএল ইতিমধ্যেই ভারতীয় অর্থনীতর অন্যতম নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে।
করোনা ভয়ে একদিনেই শেষ রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন, মমতার চক্রান্ত অভিযোগ বিরোধীদের