হ্রাস পেয়েছে উপভোক্তাদের ব্যয়, সমীক্ষা খারিজ করল মোদী সরকার
গত ৪০ বছরে এই প্রথমবার গ্রাম্য অঞ্চলগুলিতে গ্রাহকদের ব্যয়ে তীব্র পতন হয়েছে। যদিও নরেন্দ্র মোদী সরকার শুক্রবার জানিয়েছে যে এই বছর ২০১৭–১৮ সালের উপভোক্তা ব্যয় সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যমে তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, অনেক খামতি থাকায় এই সমীক্ষা খারিজ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ও প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন মন্ত্রক তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'সমীক্ষায় বেশ কিছু খামতি লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাই মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এ বছর ২০১৭–১৮ সালের উপভোক্তা ব্যয় সমীক্ষা প্রকাশ করা হবে না। আগামী দু’বছর এই সমীক্ষা চালানো যুক্তিযুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেটা হলে ২০২২ সালের আগে দারিদ্র সংক্রান্ত কোনও তথ্যই মিলবে না।’
তবে শনিবার সকালেই বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্রে উপভোক্তা ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, পরিবারগুলি পণ্য ও পরিষেবার জন্য যা ব্যয় করে তার মোট মূল্য হ্রাস পেয়েছে ১৯৭০ সালের পর এই প্রথমবার। সূত্রের খবর, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের অপ্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত উপভোক্তাদের চাহিদা গ্রামের দিকে ৮.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ১২ মাসে এতটা ঘাটতি ১৯৭২–৭৩ সালের পর দেখা যায়নি।
তবে মোদী সরকার এই অভিযোগ নস্যাৎ করে জানিয়েছে যে এ সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। কারণ রিপোর্টটি নতুন করে তৈরি করতে হবে। জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পি সি মোহননের মতে, মাসিক খরচ কমে যাওয়ার অর্থ, দারিদ্র বেড়েছে। ধনীরা সংসার খরচ কমাবেন, এমনটা সাধারণত হয় না। আয়ের দিক থেকে নীচের সারিতে থাকা ১০ থেকে ২০% মানুষই খরচ কাটছাঁট করেন।
তবে এটাই প্রথম নয়, যখন মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নিজেদেরই সমীক্ষাই প্রকাশ করবে না। এ বছরের গোড়াতেই কর্ম সমীক্ষার তথ্য, যেখানে দাবি করা হয়েছিল, ১৯৭২–৭৩ সালের পর মোদী সরকারের আমলে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। এই সমীক্ষার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। কারণ সামনেই নির্বাচন ছিল। তবে এই তথ্য ফাঁস হয়ে যায় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্রে।