রাজ্যবাসী কোয়ারান্টাইনে আছে কিনা তা দেখার জন্য সরকারি অ্যাপে ছবি পাঠানোর নির্দেশ কর্নাটকে
রাজ্যবাসী কোয়ারান্টাইনে আছে কিনা তা দেখার জন্য সরকারি অ্যাপে ছবি পাঠানোর নির্দেশ কর্নাটকে
করোনা ভাইরাসের তাড়নায় লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। প্রত্যেকটা মানুষই আটকে রয়েছেন বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই কি করবেন কি না করবেন তা ভাবিয়ে তুলছে সকলকে। এরকম পরিস্থিতিতে দারুণ এক বিষয় জানালেন কর্নাটকের মেডিক্যাল শিক্ষা মন্ত্রী কে সুধাকর। সোমবার তিনি জানিয়েছেন রাজ্যবাসী যাঁরা হোম কোয়ারান্টাইনে আছেন, তাঁরা নিজেদের সেলফি তুলুন এবং সেটা প্রত্যেক একঘণ্টা অন্তর পাঠিয়ে দিন সরকারের মোবাইল অ্যাপে।
সেলফি পাঠান সরকারি অ্যাপে
বিজেপি নেতা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন এই সেলফি বা ছবির সঙ্গে জিপিএসের সমন্বয় থাকবে যাতে সেলফি প্রেরকের অবস্থান জানা যাবে। কে সুধাকর আরও জানিয়েছেন যে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা বাসিন্দারা যদি প্রত্যেক একঘণ্টা অন্তর (শুধুমাত্র রাত দশটা থেকে সকাল ৭টা বাদ দিয়ে) সেলফি না পাঠান তবে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে সরকারের গণ কোয়ারান্টাইন সুবিধায়। মন্ত্রী জানান, এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে যদি ভুল ফটো পাঠানো হয় তবে।
নতুন পাঁচটি পজিটিভ করোনা কেস
বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার কর্নাটকে নতুন করে পাঁচটি পজিটিভ কোভিড-১৯-এর কেস ধরা পড়ে। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮-তে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটে মৃত্যু ও ছ'জন সুস্থ হওয়ার কেস। ৭৯টি সক্রিয় করোনা ভাইরাসের ঘটনার মধ্যে ৭৮ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে, যাঁরা এখন স্থিতিশীল রয়েছেন এবং একজন ভেন্টিলেটরে আছেন। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ৮৮টি কেস সনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬জন বাইরে থেকে এসেছেন এ রাজ্যে এবং তাঁদের কর্নাটকের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
কর্নাটকে দেখা দিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ
রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সংস্পর্শে আসা এরকম করোনা ভাইরাস রোগীর সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে পাঁচ। তাঁদের মধ্যে তুমকুরের ১৩ বছরের এক কিশোর রয়েছে, যে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের ছেলে, অন্য চারজন, যাঁদের বয়স ২৪ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে, তাঁরা মাইসোরের নানজানাগুরের বাসিন্দা এবং একসঙ্গে একই মেডিক্যাল সংস্থাতে কাজ করতেন। এঁদের মধ্যে একজন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন, যদিও তাঁর কোনও বাইরের দেশে যাওয়ার খবর নেই। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, সমস্ত কোভিড-১৯-এর কেসের ক্ষেত্রে সব যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৮৮ জন পজিটিভ কেসের মধ্যে ৪১ জন বেঙ্গালুরুর, ১২ জন মাইসুরুর, আটজন চিক্কাবাল্লাপুরার,
করোনা মুক্ত ছ’জন রোগী
সাতজন দক্ষিণ কন্নর ও উত্তর কন্নড়ের, তিনজন কালাবুর্গাই, দেবানগেরা ও উদুপির, ২ জন তুমাকুরুর ও কোদাগু ও ধারওয়াডের একজন করে। বেঙ্গালুরুর ছ'জন কোভিড-১৯-এর রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অন্যদিকে কালাবুর্গারি, বেঙ্গালুরু ও তুমাকুরু থেকে তিনজন মারা গিয়েছেন। সোমবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিরাপ্পা জানিয়েছেন যে ২১ দিনের দেশজুড়ে লকডাউন নির্ভর করছে মানুষ কিভাবে তা অনুসরণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন যে কার্ফু অনুসরণ করতে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে।