লক্ষ্মীবারে শেয়ারবাজারে ধাক্কা, ৮১৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স
লক্ষ্মীবারে শেয়ারবাজারে ধাক্কা, ৮১৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স
শেয়ার বাজারে ফেত পতন। লাগাতার পাঁচ দিন ধরে ধস নেমে চলেছে শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই এক ধাক্কায় ৮১৭ পয়েন্ট পড়েছে শেয়ার বাজার। নিফটিতেও বড় পতন হয়েছে। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে নিফটির সূচক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপোরেট বাড়ানোর পর থেকেই শেয়ারবাজারে একের পর এক ধস নামতে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে শেয়ার বাজারের অবস্থা খারাপ। মন্দা যাচ্ছে নিফটিও। বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই একের পর এক বড় বড় সংস্থার শেয়ার কমতে শুরু করে। একদিকে করোনা সংক্রমণ, তার উপরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। তারপরেই আবার টাকার দামে রেকর্ড পতন। তার জেরে বিদেশি বিনিয়গকারীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছেন। তার জেরেই এই লাগাতার ধস নামতে শুরু করেছে শেয়ারবাজারে।
এই মন্দার বাজারে সবচেয়ে বেশি যেসব কোম্পানি গুিলর শেয়ারের দাম পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, টাটা স্টিল, বাজাজ ফিনান্স, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, লার্সেন টুব্রো, বাজাজ ফিনসার্ব। তবে এই মন্দার বাজারে লাভের মুখ দেখছে পাওয়ার গ্রিড সংস্থাগুলি। হংকংয়ের পরিস্থিতির কারণেই এই ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। সেখানে করোনা সংক্রমণের কারণে সেখানে কড়া লকডাউন চলছে। যার জেরে একাধিক বড় সংস্থার কনসাইন্টমেন্ট আটকে রয়েছে। তার জেরেই মন্দার বাজার দেখা দিয়েছে শেয়ার বাজারে।
এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপোরেট বেড়ে যাওয়া এবং তার সঙ্গে টাকার দামের পতন দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে শুরু করে দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রেপোরেট বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। তিনি বলেছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতি ক্রমশ বাড়বে দেশে। খাদ্য শস্য থেকে খাদ্য দ্রব্যের দাম আর বাড়বে। ইতিমধ্যেই দেশে বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তারসঙ্গে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দামও।