৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের বর্ষপূর্তির আগে অয়োধ্যায় চূড়ান্ত নিরাপত্তা
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙা হয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। আর কিছুদিন পরই আসছে সেই দিনটি। তাই ওইদিন যাতে কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য অযোধ্যায় বাড়িয়ে দেওয়া হল নিরাপত্তা বাহিনী।
অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ ঝাঁ জানান, রামজন্মভূমি এমনিতেই রেড–জোন উচ্চ সুরক্ষিত এলাকা, সেখানে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ এবং এটা ছাড়াও অন্য ধর্মীয় স্থানেও রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই অযোধ্যায় নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বাবরি মসজিদ ধ্বংসবার্ষিকী পর্যন্ত থাকবে। আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হলো ৬ ডিসেম্বর এলাকায় যাতে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় থাকে। আমি জানি অযোধ্যাবাসী শান্তিপ্রিয়, তাই তাঁরা কোনও অঘটন ঘটাবেন না।’
অযোধ্যার নিরাপত্তাকে চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। ২.৭৭ বিতর্কিত জমিটি রেড–জোন, শহর হলো ইয়ালো–জোন, গ্রীন জোন হল জেলা এবং ব্লু জোন হল অযোধ্যা সংলগ্ন প্রতিবেশী এলাকাগুলি। রেড জোনের অন্তর্গত রাস্তাগুলিতে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড এবং কড়া নজরদারি চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অযোধ্যা জেলা শাসক ৮ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। নতুনভাবে বসানো হয়েছে ৪৫টি সিসি ক্যামেরা। এছাড়াও জোরদার রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। চলছে নাকা তল্লাশি। সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে যাতে কেউ কান না দেন সেই জন্য তার ওপরও পুলিশের নজর রয়েছে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হাজার হাজার কর সেবকদের হাতে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ। ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে এই মসজিদ তৈরি হয়েছিল। হিন্দু ও ডানপন্থীদের বড় অংশ এটা বিশ্বাস করে যে রাম মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। এই স্থানটি ছিল রামজন্মভূমি। যদিও হিন্দুদের এই দাবি কোনওকালেই মানেনি মুসলিমরা। বাবরি মসজিজ ভাঙচুরের ঘটনার জেরে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এদিনটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের পক্ষ থেকে 'শৌর্য দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়। অন্যদিকে মুসলিমরা ৬ ডিসেম্বরের দিন 'ইয়াম ই গম’ (দুঃখের দিন) হিসাবে পালন করে।